নির্যাতিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলো কাঁথি মহকুমা আদালত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মিথ্যা মামলা? তাই কি নির্যাতিতা দিনের পর দিন আদালতের সাক্ষী এড়িয়ে যাচ্ছেন? আদালতের বিচারক নির্যাতিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা…

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মিথ্যা মামলা? তাই কি নির্যাতিতা দিনের পর দিন আদালতের সাক্ষী এড়িয়ে যাচ্ছেন? আদালতের বিচারক নির্যাতিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতেই এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে!

ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নাবালিকা। আদালত অবমাননার অভিযোগে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কাঁথি মহাকুমা আদালত। শনিবার কাঁথি অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক ফাস্ট ট্রাক ফাস্ট কোর্ট (পক্সো) বিচারক অজেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য যুবতীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তৎকালীন নাবালিকা থাকলেও, এখন যুবতী বলে আদালত সূত্রে খবর।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা চলছিল কাঁথি আদালতে। দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিতাকে আদালতের সাক্ষ্যদানের কথা বললেও এড়িয়ে যান বলে আইনজীবি সূত্রে খবর। অসুস্থ অভিযোগ তুলে দিনের পর দিন আদালতের সাক্ষ্যদানের দিন এড়িয়ে যান। এরপর আদালতে একটি অসুস্থ থাকার মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা করেন ওই নির্যাতিতা। সেই মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে বিচারকের সন্দেহ হয়। তারপরেই বিচারক ওই নির্যাতিতা বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

ছাত্রনেতার আইনজীবী আনন্দ দাস বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে কাঁথি আদালতে এই মামলায় বিচার চলছে। মামলার নির্যাতিতা সাক্ষী চলছে, কিন্তু আদালতের নির্দেশে নির্যাতিতা সাক্ষী চলছে। কাঁথি আদালতে ৮টি সাক্ষীর দিন গিয়েছে, নির্যাতিতা সাক্ষী দিতে আসেনি। ওই নির্যাতিতা কখনো বলছে পরীক্ষা আছে, কখনও বলছে অসুস্থ আছে৷”

তিনি আরও বলেন, “নির্যাতিতা অসুস্থ বলে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট আদালতে পেশ করেন। আদালত মান্যতা দেয়নি। নির্যাতিতা সেই মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারক। আদালতের বিচারক বিরক্ত হয়ে নির্যাতিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। জামিন যোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য কাঁথি মহিলা থানার আইসিকে নির্দেশ দেন৷”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে ধর্ষণে অভিযোগ কাঁথি মহিলা থানায় দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। শুধু শুভদীপ গিরি নয়, বাবা মা সহ পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই মামলা হাইকোর্টে ওঠে।

তারপরে কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করে ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। প্রথমে পুলিশে হেফাজত, জেল হেফাজতের পর কলকাতার উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান। যদিও আদালত শর্ত দেন তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে থাকতে পারবেন না। সেই নির্দেশ অনুসারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাইরে রয়েছেন ছাত্র নেতা শুভদীপ গিরি। তৎকালীন সময়ের ছাত্র নেতার পরিবারের সদস্য থেকে আত্মীয় পরিজনদের দাবি ছিল মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।