মালদায় ভ্যাকসিন নিতে প্রবল অনীহা

ফের দেশে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের প্রশাসন। কিন্তু তার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার মধ্যে বিস্তর…

News of relief amid the Omicron panic, two vaccines approved simultaneously

ফের দেশে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের প্রশাসন। কিন্তু তার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের উপরে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। কিন্তু রাজ্যের একাধিক জেলায় এখনও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। যা চিন্তায় ফেলেছে।

মালদায়, যেখানে প্রথম ডোজের রেজাল্ট ভালো থাকলেও দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা গিয়েছে অনেকের মধ্যেই।

মালদা মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্যকর্মীরা ফাঁকা বসেই সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন।এই পরিস্থিতিতে কীভাবে টিকাকরণ কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া যায় তাই নিয়ে ফের একবার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।

ইতিমধ্যেই দিল্লি, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, চন্ডিগড়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমনের সংখ্যা।

মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আসার পর থেকে প্রথম ডোজ ২৬,৮৫,২৮৫ জন মানুষ নিয়েছেন। যা ৮০.৩ শতাংশ। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৮,৪২,৩৯৩ জন। যা ৬৫.৪ শতাংশ।

১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা এখনও পর্যন্ত ৮৮,৫০০ জন টিকা গ্রহণ করেছে। প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ টিকা দিলেও দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা গেছে একাধিক মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মানুষের মধ্যে এই অনীহার প্রক্রিয়াটি দেখা গিয়েছে।