Purba Bardhaman: সংবাদমাধ্যমের চাপে ১৩ দিন পর কাদাপাড়ায় ‘কারেন্ট এলো’

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন সকলে। আর এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর কাদাপাড়ায় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়…

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন সকলে। আর এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর কাদাপাড়ায় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিন। একটানা ১৩ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল এলাকা। সেই সংবাদ সম্প্রচারিত হতেই হঁশ ফিরেছে প্রশাসনের।

অবশেষে ১৩ দিন পর কাদাপাড়া গ্রামে এসেছে বিদ্যুত। তীহ্র দাবদাহে অসহনীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এই গ্রামে। এলাকাবাসী গ্রাম ছাড়ছিলেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ১৩-১৪ দিন হয়ে গেল এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। মা ব্রেন টিউমারে অসুস্থ। প্যারালাইজড হয়ে ঘরে বসে রয়েছেন। তাকে সব সময় হাওয়া দিতে হয়। হাতপাখায় ভরসা। অন্তঃসত্ত্বাদের নাজেহাল পরিস্থিতি। এলাকাবাসী গাছের ছাওয়াতে গিয়ে হাত পাখা দিয়ে নিজেদের গরম মেটাতে ব্যস্ত।

জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ অফিসে খবর দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ দেয়নি। জানানো হয়েছে, নতুন ট্রান্সফর্মার লাগানো হলেও তা পুড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর অভিযোগ করেছে, স্থানীয় বাসিন্দারাই ট্রান্সফরমার পুড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছে, বিদ্যুৎ দফতর খবর দিয়েছিল। তারা পুরনো ট্রান্সফর্মার দিয়েছিল। যার কারণে তা পুড়ে গিয়েছে।

পূর্বস্থলীর কাদাপাড়া গ্রামের শিশুদেশ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামের বাসিন্দারা একে একে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আত্মীয় বাড়িতে উঠতে থাক্ন। যারা অসুস্থ তারা সারা রাত জেগে কষ্ট পাচ্ছেন এই গরমে।

গ্রামে রয়েছে প্রায় আড়াইশোটি পরিবার। এই চরম গরমে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ, শুধু বিদ্যুৎ দফতর নয়, গ্রামের ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত প্রধান সকলকে জানানো হলেও কোনও ভাবেই সাহায্য পাওয়া যায়নি। পরে সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর হয়। এরপর হঁশ ফেরে প্রশাসনের।