SSC Scam: এসএসসির OMR শিট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর

২০১৬-র এসএসসির (SSC Scam) গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছে…

bratya-basu

২০১৬-র এসএসসির (SSC Scam) গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে এসএসসির OMR শিট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এখন থেকে যে এসএসসি পরীক্ষা হবে, তার OMR শিট ১০ বছর সংরক্ষিত রাখা হবে।

চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এই ছেলেমেয়েগুলোকে বলির পাঁঠা ভাবছে বিজেপি। এদের জন্য কোনও দরদ নেই বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র ওদের কথা ভাবছেন। যোগ্যদের জন্য যতদূর যাওয়ার যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ মাত্র ৮ শতাংশ অযোগ্য, আর যোগ্য ৯২ শতাংশ।

সোমবার ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই নজিরবিহীন রায়ের ফলে চাকরি হারান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। এরপরই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

মমতা বলেছিলেন, দেশজুড়ে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা চাকরি দিচ্ছি। কিন্তু আইনের খোঁচা মেরে চাকরি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির লোকদের হাইকোর্টে বসানো হয়েছে। ওটা বিজেপির বিচারালয় হয়ে গিয়েছে। ‘বেআইনি’ অর্ডার। আমরা এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। চিন্তা করবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং ছাত্রছাত্রীরা। আপনাদের পাশে কেউ না থাকলেও আমি আছি।

হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। একই সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা রুজু করেছে। স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেছে এসএসসি। পৃথকভাবে সমস্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও কবে এই মামলাগুলির শুনানি হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই নয়, হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ রায়। ৫ মিনিটে আমরা সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়ে যাব। যারা চাকরি করছেন, তাঁদের সবাইকে বলব, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। কয়েকজনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার জন্য এভাবে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া যায় না।