
কেউ বা মন্ত্রীর ভাই। আবার কেউ বিধায়কের মেয়ে। আবার কেউ পরিচয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি৷ গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) গ্রুপ সি পদে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন দুর্নীতির করে চাকরি পাওয়া কর্মপ্রার্থীদের নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ এমনকি তাঁদের নাম ও স্কুলের নাম প্রকাশ্যে আসতেই তা জলের মতো পরিষ্কার৷
শুরু হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী থেকে৷ পর্যায়ক্রমে কয়েক হাজার কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ চাকরি টিকিয়ে রাখতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তার মধ্যেও অনেকে। এই আইনি লড়াইয়ের মধ্যে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল সরকারকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তার ওপর নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই চরম বিড়ম্বনার মুখে শাসক দলের নেতারা।
অনেকেই বলছেন, পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ হয়েছে তাঁদের৷ কিন্তু তাদের সাদা খাতা দেখে চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা৷ আবার কেউ একদিন চাকরি করেই ইস্তফা দিয়েছেন৷ চাকরি নিয়ে আদালতের প্রথম নির্দেশের পরেই আবার অনেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে কি তাঁরা এত দিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ পেয়েছেন? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের নাম জড়াতে শুরু করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কুন্তল ঘোষ, শাহিদ ইমামের মতো ছোট মাপের নেতারা৷ আবার রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়,মানিক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য প্রশাসনিক পদাধিকারিরাও৷ দুর্নীতির জাল এত বড় বিস্তৃত হয়েছে, তাতে আগামী দিনে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতাদের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশ্য আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখনও শিক্ষা দফতরের বহু সরকারি আধিকারিকরা এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদেরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক৷ সেক্ষেত্রে সরকারের চাপ আরও বাড়তে পারে৷ এমনকি সেখানে শাসক দলের নেতাদের নামও জড়াতে পারে৷