মমতা আর মর্জিনা। দুই বোন নয়, দুই সতীন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের শুকুর মণ্ডলের দুই স্ত্রী। সুখের সংসার। দুই স্ত্রীকেই সমান সুখ দিয়েছেন তিনি। কখনও কারও সঙ্গে বঞ্চনা করেননি। সেই সুখের সংসারে হুল হয়ে এল এন্যুমারেশন ফর্ম। এখন অশান্তির সংসার, কাঁটার নাম এসআইআর।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের রায়পুরের চোয়াপাড়ার বাসিন্দা শুকুর মণ্ডল। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ভিনরাজ্যে থাকেন। ডোমকলের বাড়িতে এন্যুমারেশন ফর্ম দিয়ে এসেছেন বিএলও নাজমুন্নেসা খাতুন। এরপর থেকেই শুরু বিপত্তি। শুকুরের সুখের সংসারে অশান্তি।
এন্যুমারেশন ফর্মে স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম লেখার জায়গা রয়েছে। একজনের নামই লেখা যাবে। মমতা-মর্জিনার দু’জনের স্বামী শুকুর মণ্ডল। তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। তাল কেটেছে শুকুরের ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে। তিনি কার নাম লিখবেন? মমতার নাকি মর্জিনার? এতেই জ্বলছে সুখের সংসার।
দুই সতীনই স্বামীর এন্যুমারেশন ফর্মে নিজের নাম রাখতে চান। তাঁদের বক্তব্য, দু’জনেই শুকুরের স্ত্রী হলেও শুধুমাত্র একজনের নাম কেন থাকবে? পালা করে ঘর এবং সামলেছেন মমতা এবং মর্জিনা। কষ্ট করে হলেও স্বামীর সুখ ভাগ করে নিয়েছেন। সোহাগ কমবেশি হলেও তা পুষিয়ে দিয়েছেন শুকুর। কিন্তু এই এন্যুমারেশন ফর্মে কীভাবে ভাগ করবেন? এ নিয়ে শুকুরের ঘুম উড়েছে। তাঁর মতে, ” আমি দুই স্ত্রীকেই সমান মর্যাদা দিই। দু’জনকে আলাদা বাড়িও করে দিয়েছি। তাহলে এন্যুমারেশন ফর্মে একজনের নাম থাকবে?” শুকুরের সমস্যা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিএলও থেকে প্রশাসনিক কর্তারা।
