Jitendra Tiwari: মমতা সরকারকে ধাক্কা! বিজেপি নেতা জিতেন্দ্রের গ্রেপ্তারে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। আসানসোলে কম্বল বিতরণ মামলায় পদদলিত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari)

Jitendra Tiwari

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। আসানসোলে কম্বল বিতরণ মামলায় পদদলিত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেপ্তারে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শনিবারের এই ঘটনায় নয়ডা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং আসানসোল উত্তর থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেপ্তার করে। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ওই রাতেই আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয়। আসানসোল আদালত তাকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

জিতেন্দ্র তিওয়ারি মামলায় নোটিশ জারি করে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আসানসোল পৌরসভার দুই মেয়র গৌরব গুপ্ত এবং তেজ প্রতাপ সিংয়ের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেছেন যে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে রাজ্য পুলিশ ‘অপহরণ’ করেছে। আইনি নিয়ম না মেনে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানিয়ে রাখি, গত নভেম্বরে কম্বল বিতরণের ঘটনায় পদদলিত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।

আসানসোল পুলিশ এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতা কলকাতা হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে সুরক্ষা দিয়েছে, কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।

হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়, আদালত রাজ্য সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছে এবং নোটিশ জারি করেছে। বেঙ্গল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেছিলেন, তাঁর ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নয়, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপি নেতারাও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি গ্রেপ্তারের বিষয় নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।