Durga Puja Carnival: শিলিগুড়ি কার্নিভালে থাকছে বিশেষ চমক, জানুন কী কী

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। সকলেই পুজোর কেনাকাটায় ব্যস্ত। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল তৈরি চলছে। শহরও ধীরে ধীরে সেজে উঠছে দুর্গাপূজার আগে।…

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। সকলেই পুজোর কেনাকাটায় ব্যস্ত। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল তৈরি চলছে। শহরও ধীরে ধীরে সেজে উঠছে দুর্গাপূজার আগে। সেজে উঠছে শিলিগুড়িও কারণ এই বছর দুর্গাপুজো কার্নিভাল আয়োজন করছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। এই মর্মে দুর্গাপুজো কার্নিভাল নিয়ে পুরনিগমের প্রেক্ষাগৃহে শহরের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন মেয়র গৌতম দেব। বৈঠকে ঠিক হয়েছে মহালয় থেকেই শহরকে সাজিয়ে তোলা হবে। ২৬ শে অক্টোবর কার্নিভালের দিন বিসর্জনের শোভাযাত্রা রয়েছে। এছারাও সেইদিন স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।

মেয়র গৌতম দেবের অধীনে বৈঠকে ঠিক হয়েছে কার্নিভালে অংশোগ্রগণকারী ৫ টি পুজো ক্লাবকে বিচারকের রায়ে পুরস্কৃত করা হবে। আগের বছর ৩টি ক্লাবকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এই বছরও প্রতিটি ক্লাবকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম পুরস্কারের মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। গতবারের তুলনায় এই বছর পুরস্কারের মূল্যও বাড়ানো হয়েছে। শুধু কার্নিভালই নয়, বিচারকদের বিচারে সেরা ক্লাবগুলিকে পুরস্কৃতও করা হবে।

জানা গিয়েছে আগামী ৮ নভেম্বর রবীন্দ্র মঞ্চে বিজয়া সম্মিলনির আয়োজন করা হবে সেখানে পুরনিগমের বিচারে শারদ সম্মান দেওয়া হবে কয়েকটি ক্লাবকে। এই দিন কার্নিভালের পুরস্কারও দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে মেয়র গৌতম দেব বলেন, “কার্নিভালে শিলিগুড়ির সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশাপাশি তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শিল্পীরা অংশ নেবেন। শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু রাস্তা আমরা সাজিয়ে তুলব। গতবার কার্নিভালে ২৩টি ক্লাব অংশ নিয়েছিল। এবারও বেশ কিছু ক্লাবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ৭-৮টি ক্লাব এখনও পর্যন্ত তাদের সম্মতি জানিয়েছে। প্রতিটি ক্লাবকে এয়ারভিউ মোড়ে অনুষ্ঠানের জন্য ৫ মিনিট করে গতবার সময় দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সময়টা একটু বাড়াব।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা এবার পুরস্কারের আর্থিক মূল্যটাই বাড়িয়েছি। যারা অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে নিয়েই আমরা অনুষ্ঠান করব। মহালয়ার দিন থেকেই শহরকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’