Suvendu Adhikari: পিসি-ভাইপোকে একেবারে গ্যারেজ করব, ভাইপো বাইরে থাকবে না: শুভেন্দু

নন্দীগ্রাম (Nandigram) শহীদ বেদীকে সামনে রেখে বলে গেলাম। সিপিআইএমকে সাফ করেছি। এবার পিসি ভাইপোকে একেবারে গ্যারেজ করব। এমনই বললেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

Suvendu Adhikari addressing a political rally

নন্দীগ্রাম (Nandigram) শহীদ বেদীকে সামনে রেখে বলে গেলাম। সিপিআইএমকে সাফ করেছি। এবার পিসি ভাইপোকে একেবারে গ্যারেজ করব। এমনই বললেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এখন চরম বিরোধী।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছর দেখা হবে। তখন ভাইপো বাইরে থাকবে না। ভিতরে থাকবে। যারা যা যা করছেন সবটা চন্দ্রগুপ্তের ডায়েরিতে লেখা থাকবে। লক্ষ্মণ শেঠদের অবস্থা যা হয়েছে, আপনাদের অবস্থা ভবিষ্যতে তাই-ই হবে। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ দেখা হবে।

২০০৭ সালের পর থেকে নন্দীগ্রামে শহীদ দিবস পালন করে থাকে তৃণমূল। যার প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ২০২০ সালে দলত্যাগ করে বিজেপি যোগ দেন তিনি। রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন হয় নন্দীগ্রামে। কিন্তু তাৎপর্যতা এখনও কমেনি। সোমবার আদালতের তরফে একাধিক শর্তাবলী লাগু করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। সেই শর্ত মেনেই সভা করলেন তিনি। এদিনের সভা থেকে তোপ দাগলেন শাসক শিবিরকে।

এখানে অধিকার সবার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে। মালা দেবে চলে যাবে। কী এমন যুদ্ধ এখানে, কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাইকোর্ট, সাজোসাজো রব, যুদ্ধ হবে? মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না। এই গ্রামের ১০০ ছেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য জন্য কর্ণাটকে গুজরাতে গিয়ে, না খেয়ে ফ্লাইওভারের নিচে রাত কাটায় পরিযায়ী শ্রমিক।এমনিতেও ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকি যা আছে সাফ করব। আমি মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে নন্দীগ্রামের শহীদ মঞ্চ থেকে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন,তখন তৃণমূল আমাকে যে সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছিল, তা কার্যত বাধ্য হয়েছিল দিতে। আমি সব ছেড়ে স্বাধীন পথ ও স্বাধীন মত নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে ওদের খুব গায়ে জ্বালা। এবারে বাইরের লোক ঢুকিয়ে শহিদদের সম্মান জানানোর সুযোগটাও কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পুলিশ এমনটা করছিল। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে এসে আমাদের শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে হচ্ছে।