স্বাধীনতা দিবসে সংঘ-সংকল্প বিকাশের

৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Independence Day)। সেই ভাষণে একাধিকবার নাম করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের। আর…

Independence Day

৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Independence Day)। সেই ভাষণে একাধিকবার নাম করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের। আর তাতেই চটেছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা এবং বিশষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, “ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল ।

লালকেল্লা থেকে মোদী জি আর এস এস শতবর্ষ পালন করলেন। ঐ আর এস এস,যার নেতা সাভারকর দ্বিজাতি তত্ত্বের জনক। ঐ সাভারকর যিনি সাম্রাজ‍্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের কাছে বারংবার ক্ষমা ভিক্ষা করে ব্রিটিশ শাসনের পক্ষ অবলম্বন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজীবন পেনশন ভোগ করেছিলেন ; যে আরএসএস তিরাঙ্গা পতাকা কে বহুদিন অস্বীকার করেছিল,সেই আরএসএস কে গৌরবান্বিত করে ভারতের মূল বৈশিষ্ট্য কে কলঙ্কিত করলেন প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত এক ব্যক্তি।

   

ভারতের ঐতিহ্য কে রক্ষার লক্ষ্যে ঐ ব্যক্তি ও তাঁর দল কে বিতাড়নের সংকল্প গ্রহণ করি।” বিকাশ রঞ্জন তার পোস্টে স্পটতই বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও তিনি একজন RSS ভক্ত। দেশের জন্য যারা সত্যি আত্মবলিদান দিয়েছিলেন তাদের কথা স্মরণ না করে মোদী RSS এর কথাই বলেছেন। বিকাশ রঞ্জন তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন আজ স্বাধীনতা দিবস নয় RSS দিবস পালিত হল লালকেল্লায় যা অত্যন্ত লজ্জার।

বিকাশের সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নাম উল্লেখ করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি অবমাননা করেছেন।

শ্রীনাথ বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে দেশের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লার মতো মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চ থেকে এমন একটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করেছেন, যে সংগঠনকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল নিষিদ্ধ করেছিলেন। এই সংগঠনই সেই সংগঠন, যেখান থেকে নাথুরাম গডসে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার প্রেরণা পেয়েছিলেন।”

Advertisements

সুপ্রিয়া শ্রীনাথ আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তুলনায় আরএসএস-কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা শুধুমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি অবমাননা নয়, বরং দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি অসম্মান।” তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহিদদের অবদানকে খাটো করার প্রচেষ্টা।

ভীমরুলের হানা প্রভাত ফেরিতে, আহত ৩০ শিক্ষার্থী

তবে বিজেপি তরফে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলেছেন মোদী দেশের জন্য নিয়োজিত প্রাণ এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উত্তরসূরি। এই ভারতের মানুষের জন্য যুব সমাজের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তারা আরও বলেছে বিরোধীরা কোনঠাসা হয়ে গিয়ে একটা ইস্যু নিয়ে কটাক্ষ করে চলেছে। তবে আজ স্বাধীনতা দিবসে করা বিকাশের সংঘ সংকল্প কতটা তিনি রক্ষা করতে পারেন তা দেখার বিষয়।