বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Global Business Summit) মঞ্চ ফাঁকা করে বিদায় নিয়েছেন শিল্পপতি, উদ্যোগপতি ও বাণিজ্য মহলের কুশীলবরা। ফাঁকা মঞ্চ প্রাঙ্গন থেকে আড়ালে আবডালে মুচকি হাসি চলেছে। আদৌ হবে তো বিনিয়োগ?
কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা। গত বাণিজ্য সম্নেলমগুলির সারমর্ম থেকে এটাই স্পষ্ট এবারেও অনুষ্ঠান শেষে সবাই বাড়িমুখো। বিনিয়োগ করার তেমন কোনও আগ্রহ নেই। যদিও মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে বিস্তর। অর্থনীতিবিদদের একাংশের দাবি, মৌ স্বাক্ষর হওয়া আর বিনিয়োগ বাস্তবে আসার মধ্যে আসমান জমির ফারাক। তাদের আরও দাবি, গত কয়কটি বাণিজ্য সম্মেলনের পরবর্তী পরিসংখ্যান বলে দেবে পরিস্থিতি কেমন।
এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কত বিনিয়োগ তার হিসেব দিয়েছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে দু’দিনের শিল্প বাণিজ্য সম্মেলন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব জমা পড়েছে সরকারের কাছে।
বিপুল বিনিয়োগ আশ্বাসে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই সম্মেলনের মঞ্চ থেকে জানান, এবারের সম্মেলনেই যে পরিমান বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে সেগুলি থেকেই ৪০ লাখ কর্মসংস্থান করা সম্ভব।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত কমিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে তিনি সন্ধিহান, বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন নিয়ে। বিরোধী দল বিজেপি শিল্প বাণিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ করেছে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে সেই পরিবেশ নেই। শিল্পপতিরা আসতে ভয় পাচ্ছেন।
পূর্বতন বামফ্রন্ট আমলে বিনিয়োগের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছিল টাটা গোষ্ঠি। একাধিক আইটি সংস্থা এসেছিল। কিন্তু সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের প্রকল্প বাতিলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেন। প্রকল্প বন্ধ হয়। টাটারা চলে যায়। সিপিআইএমের অভিযোগ, রাজ্যের কর্মসংস্থানের সেই বিরাট উদ্যোগকে নষ্ট করা মমতা এখন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আহ্বানে কেউ আসবে না বিনিয়োগ করতে।