ভারতে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস ব্রিটেনের

পরপর দুবার প্রস্তাবিত ভারত সফর বাতিল হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভারতে (India) এসেছেন ব্রিটেনের (Britain ) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদিনই ব্রিটেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,…

Britain invest in India

পরপর দুবার প্রস্তাবিত ভারত সফর বাতিল হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভারতে (India) এসেছেন ব্রিটেনের (Britain ) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদিনই ব্রিটেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভারতে ১০০ কোটি পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ (invest) করতে চায়।

জনসন দুদিনের সফরে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সফরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে তেমনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হবে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জনসন যখন ভারত সফর করছেন তখন ব্রিটেনে বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন। সেদেশের বিরোধীরা বলেছেন, করোনার সময় পার্টি করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন জনসন। সে বিষয়ে পার্লামেন্টে জবাবদিহি এড়াতেই জনসন ভারতে চলে গিয়েছেন।

ভারতে পৌঁছানোর পর জনসন বলেছেন ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ একসঙ্গে মিলে যে অনেক কিছু করতে পারে সেটা তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য, টেলিকম, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত এবং ব্রিটেন দুই দেশ গোটা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বলেও দাবি করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেকে পাওয়ার হাউস বলে উল্লেখ করেন জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সুসম্পর্কের ফলে বিপুল কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। দু’দেশেরই আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে। আগামী দিনে লন্ডন ও নয়াদিল্লির বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত ও সুসংহত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের সবরমতী গান্ধী আশ্রমে যান বরিস জনসন। গান্ধীর আদর্শের প্রশংসা করে ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করেন তিনি। ব্রিটিশ হাইকমিশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী দিনে তারা ভারতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে চায়। সফটওয়্যার, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা এই বিনিয়োগ করবে। এর ফলে তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। আজ থেকেই ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে বলে ব্রিটিশ দূতাবাসের দাবি।

এই সফরে জনসন গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে যাবেন। ব্রিটিশ উদ্যোগে তৈরি হওয়া একটি কারখানার উদ্বোধনেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন জনসন।

দুই দিনের এই সফরে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তিতে সই করতে পারেন জনসন। ভারতের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ বলেও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।