Recruitment corruption: শুক্রবার একযোগে গ্রুপ সি পদে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশের পর একের পর এক শাসক নেতাদের নাম উঠে আসছে সেই তালিকায়। নম্বর কারচুপি করে, আবার কোথাও বিনা সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে৷ এই ধরনের একজনের চাকরি বাতিলের খবর মিলেছে। নাম, অমিত সাহা। পরিচয়ে তিনি ডায়মণ্ড হারবারের কাউন্সিলর।
হটুগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তালিকায় থাকা ৭৮৫ জনের মধ্যে ৩৭ নম্বরে রয়েছে এই নাম। পাশে লেখা রোল নম্বরও। কিন্তু এই অমিতের অন্য একটি পরিচয়ও আছে। তিনি হলেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর। জানা গেছে, মাত্র ৭ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তিনি। এতে যে কারচুপি হয়েছে, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল শুরু থেকেই৷ একাধিক অভিযোগ দায়ের হতেই কমিশনকে সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা সকলের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, যাদের নিয়োগে কারচুপি রয়েছে,সমস্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ এর জন্য ৯ তারিখ অবধি সময় ধার্য করেছিলেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ৩৪৭৭ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। যার মধ্যে ৩১১৫ জনের ওএমআর শিটে গরমিল পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, ৯০ শতাংশ নিয়োগ এখন প্রশ্নের মুখে৷ সূত্রের খবর, ৩,১১৫ জনের মধ্যে এ রকম ৭০-৮০ জন রয়েছেন যাঁদের নম্বর কমানো হয়েছিল। শুধুমাত্র ৩৬২ জনের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বেনিয়মে নিয়োগ হওয়া ৮৪২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে। কাল থেকে কেউই কাজে যোগ দিতে পারবেন না৷ পাশাপাশি আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।