দুই মাসের মধ্যে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় এরপর লাগাতার (Rape) ধর্ষণ। এরপর অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে মেরে ফেলার অভিযোগ৷ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC) প্রভাবশালী বলে পুলিশের তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এখন ডিজিপির হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ মহিলা।
পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, গত বছরের মার্চ মাসে রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি অথবা গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই তৃণমূল নেতা প্রতারিত মহিলার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন৷ দুই মাসের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি৷
অভিযোগ, ১০ লক্ষ টাকা নেওয়ার পর সময় পেরিয়ে গেলেও মহিলাকে টাকা ফেরত দেয়নি ওই তৃণমূল নেতা। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে মহিলাকে। গত বছরের জুলাই মাস থেকে চলছিল এই কার্যকলাপ। এরপর মহিলা অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে৷
অভিযোগ, বাড়ি থেকে মহিলাকে নিয়ে গিয়ে গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করে ওই তৃণমূল নেতা। ওই মহিলার পেটে লাথি মেরে সন্তাম নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে আউসগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ পরে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ যায়৷ কিন্তু প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন বলে অভিযোগ। এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজিপির হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য।
এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রতিদিন তৃণমূল নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। যার ফলে বেজায় অস্বস্তিতে শাসক দল। এমনকি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ায় প্রতারিত চাকরি প্রার্থীরা ধর্না দেখাচ্ছেন। তারই মধ্যে এধরনের ঘটনা শাসক দলের জন্য বাড়তি অস্বস্তি কারণ।