Rampurhat Files: ভাইপোর অট্টালিকায় ভাদু শেখের আসর বসত, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সেলিমের

রামপুরহাটের তারাপীঠ রোডের আলিশান বাড়ি, এই বাড়ির মালিক ‘ভাইপো’। রাত নামলে এই বাড়িতেই আসর বসত বগটুই গ্রামের ভাদু শেখের। যাকে গত সোমবার বোমা মেরে খুন…

রামপুরহাটের তারাপীঠ রোডের আলিশান বাড়ি, এই বাড়ির মালিক ‘ভাইপো’। রাত নামলে এই বাড়িতেই আসর বসত বগটুই গ্রামের ভাদু শেখের। যাকে গত সোমবার বোমা মেরে খুন করা হয়। তৃ়ণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু খুন হবার পরেই ঘটেছিল গণহত্যা। (Rampurhat Files) স্খানীয়রা বলছেন মৃত কমপক্ষে দশ জন। সরকারি হিসেবে ৮ জন। সবাই সংখ্যালঘু।

কিন্তু এই ভাইপো কে? রাজ্য জুড়ে যাকে ভাইপো নামে চিহ্নিত করা হয় তিনি নন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বেশকিছু কোটিপতি ভাইপোর একজন। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম লিখেছেন, “রামপুরহাটের তারাপীঠ রোডে তৃণমূল নেতা আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো সমু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগান বাড়ি। এখানে ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠরা রাত হলে আসর বসাতো।”

মহম্মদ সেলিমের এই পোস্ট বগটুই গ্রামের গণহত্যায় সিবিএসই তদন্ত চলাকালীন আরও আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তদন্ত প্রভাবিত করতে সিপিআইএম এমন রটনা করছে।

রামপুরহাটবাসী সেলিমের পোস্ট দেখে নীরবে স্বীকার করছেন এই অট্টালিকা স্থানীয় বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো সমুর। তার এত রোজগার কী করে হলো তাও প্রশ্ন। তবে এলাকাবাসী এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহত টি়এমসি নেতা ভাদু শেখের বিরাট বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এই বাড়ির ভিতরেও তল্লাশির দরকার। এবার তিনি ভাদু শেখের আসর যেখানে বসত তেমন বাড়ির ছবি দিয়েছেন। মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, “এই প্রাসাদোপম অট্টালিকা কার টাকায় বানানো হল? সেই টাকার উৎস কী? এই বিষয়ে মুখে কুলুপ কেন পুলিশ, প্রশাসনের?”

মহম্মদ সেলিমের আরও অভিযোগ, “সমু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহার করা নতুন বিলাসবহুল চার চাকা গাড়িটি রামপুরহাট HDFC ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কেনা। যার কিস্তি মেটাতো ভাদু শেখ। কেন? ভাদু শেখের সঙ্গে কি সম্পর্ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো সমু বন্দ্যোপাধ্যায়ের?”

বগটু়ই গ্রামের গণহত্যার তদন্তে নেমে সিবিআই জেরা করছে টিএমসি নেতা আনারুল হোসেনকে। নিহতদের আত্নীয়রা অভিযোগ করেছিলেন, আনারুল গণহত্যায় জড়িত। তার নির্দেশে পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এর পরেই অতি দ্রুত গ্রেফতার হয় আনারুল। যদিও গণহত্যার পর টানা পুলিশের নাগালের বাইরে ছিল সে। পরে আনারুল জানায় সব ষড়যন্ত্র, সিবিআই কে জানাব।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, “আনারুলকে গ্রেপ্তার করে কার টাকার বিনিময়ে কী আড়াল করা হচ্ছে? আসলে রামপুরহাট গণহত্যার নেপথ্যে লুকিয়ে আছে তৃণমূলের আপাদমস্তক দুর্নীতি ও বখরার রাজনীতি। রামপুরহাট গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। সঠিক তদন্ত চাই। রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে। বাঙলার প্রতিটি কোণে মজুত বে-আইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করতে হবে। বাঙলার গুণ্ডাদের কন্ট্রোল করা মুখ্যমন্ত্রীকেই এই গণহত্যার দায় নিতে হবে।”