Purba Bardhaman:  ভোটের বলি আরও, নিহত আউসগ্রামের বাম সমর্থক

ভোটের আগুনে জ্বলছে বাংলা। এবার মৃত্যু হল আরেকজনের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬ (সকাল ১০;২৭)। নিহত বাম সমর্থক। পূর্ব বর্ধমানে চাঞ্চল্য। নিহতের বাড়ি আউসগ্রামে। শুক্রবার…

ভোটের আগুনে জ্বলছে বাংলা। এবার মৃত্যু হল আরেকজনের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬ (সকাল ১০;২৭)। নিহত বাম সমর্থক। পূর্ব বর্ধমানে চাঞ্চল্য। নিহতের বাড়ি আউসগ্রামে।

শুক্রবার আউসগ্রাম-২ ব্লকের  বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ও বাম সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতিদের আক্রমণে আহত হন ৩২ বছরের রাজিবুল হক। আহত রাজিবুলকে প্রথমে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। এরপর তার শারীরিক অবনতি হলে,গভীর রাতে এন আর এস-এ স্থানান্তরিত করা হয়।আজ সকালে মৃত্যু হয় রাজিবুল হকের। এমনই জানাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিআইএম।

পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য। মুর্শিদাবাদে জোড়া খুন হয়। একদিকে রানিনগরে টিএমসি কর্মীকে বাঁশ-লাঠি পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে খড়গ্রামে ফুলচাঁদ শেখের মৃতুতে মূল অভিযুক্ত-এর দেহ উদ্ধার হয়।

শুক্রবার বুথ দখলে রাখতে তৃণমূল-বাম প্রবল সংঘর্ষ হয়েছিল আউসগ্রামে। নিরাপত্তাহীন ছিলেন ভোটকর্মীরা। আউসগ্রাম দু নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর এফপি স্কুলে হুড়মুড়িয়ে ঢুকেছিল একদল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। তাদের তাড়া করেছিল বাম সমর্থকরা। দুপক্ষের প্রবল সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে।

ভোটকর্মীরা ভয়ে কাঁপছিলেন। তাদের সামনে দিয়ে দা কাটারি ভোজালি নিয়ে দৌড়চ্ছিল দুপক্ষের সমর্থকরা।বামপক্ষের অভিযোগ, ভোটের আগে বুথ দখল করতে এসেছিল তৃণমূল। তাদের রুখে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বুথ দখলে নিয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে চায় সিপিআইএম।

বিষ্ণুপুরের এপ পি স্কুলের সামনে তৃণমূল ও সিপিআইএমের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। রীতিমত বাঁশ, লাঠি, পাথর ভোজালি নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালিয়ে বুথ দখলের লড়াই চলে। এই গোটা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ছিলেন ভোট কর্মীরা।

পঞ্চায়েত ভোট শুরুর পর আশঙ্কা মিলিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেছে রাজ্য। চলছে খুনের পর্ব। পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। তবে দেখা নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। নির্বাচন কমিশনের অফিসেও গরহাজির রাজীব সিনহা। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অফিসে। একের পর এক জমছে অভিযোগ তবু দেখা নেই কমিশনারের। তিনি কি ঘুমোচ্ছেন? এমনই প্রশ্ন বিরোধীদের।

ভোট রুখতে হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের সকালে।