‘মমতার ঘনিষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কি ঘুমোচ্ছেন?’ প্রশ্ন রক্তাক্ত বাংলার

পঞ্চায়েত ভোট শুরুর পর আশঙ্কা মিলিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেছে রাজ্য। চলছে খুনের পর্ব। পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। তবে দেখা নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের।…

পঞ্চায়েত ভোট শুরুর পর আশঙ্কা মিলিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেছে রাজ্য। চলছে খুনের পর্ব। পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। তবে দেখা নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। নির্বাচন কমিশনের অফিসেও গরহাজির রাজীব সিনহা। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অফিসে। একের পর এক জমছে অভিযোগ তবু দেখা নেই কমিশনারের। তিনি কি ঘুমোচ্ছেন? এমনই প্রশ্ন বিরোধীদের।

একাধিক জায়গায় অভিযোগ উঠছে বহু বুথে এখনও পর্যন্ত পৌঁছায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নেই কোন ভোট গ্রহণের অনুকুল ব্যবস্থা। একাধিক জায়গায় চলছে ছাপ্পা ভোট। ভোট দিতে এসে সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

   

ভোট রুখতে হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের সকালে।

সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ উত্তপ্ত গোটা বাংলা। মুর্শিদাবাদ কোচবিহার থেকে শুরু করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পর্যন্ত একের পর এক মৃত্যু ও হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে। রাজ্যে (সকাল ৯টা) পঞ্চায়েত ভোটের বলি ২৫ জন। তার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনারের এই হঠাৎ বেপাত্তা হওয়ার ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে কি এখনও ঘুমাচ্ছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার? ঘুম কি এখনও ভাঙেনি? এমনই প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।