Rachana Banerjee: কারখানার ধোঁয়া দেখে ভিডিও করলেন রচনা! সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ল সেই দৃশ্য

অভিনয় তো বটেই, কিন্তু সেই অভিনয় ছাড়া, এক রিয়্যালিটি শো-এর সঞ্চালনার মাধ্যমে তিনি জিতে নিয়েছিলেন শহর থেকে গ্রাম, আট থেকে আশি, সকলের মন। তাঁর এই…

Rachana Banerjee TMC Candidate

অভিনয় তো বটেই, কিন্তু সেই অভিনয় ছাড়া, এক রিয়্যালিটি শো-এর সঞ্চালনার মাধ্যমে তিনি জিতে নিয়েছিলেন শহর থেকে গ্রাম, আট থেকে আশি, সকলের মন। তাঁর এই শো-এ এসে মন উজাড় করে কত কীই না অভিজ্ঞতার কথা বলেন বাংলার দিদি-বোনেরা-মায়েরা, ছোট ছোট শিশুরাও। সেই রচনা ব্যানার্জিই (Rachana Banerjee) লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পা রাখলেন রাজনীতির ময়দানে। শুধু পা-ই রাখলেন তা নয়, তৃণমূলের হয়ে প্রার্থীও হলেন। হুগলিতে এখন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে লড়াইয়ে নেমেছেন তৃণমূলের রচনা।

এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু রাজনীতিতে পা রেখেই অভিনেত্রীর একের পর এক মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। ট্রোল, মিম-এর বন্যা। এসব কিছুকে কেন্দ্র করে সংবাদ শিরোনামেও অহরহ উঠে আসছে তাঁর নাম। সম্প্রতি ধোঁয়া নিয়ে তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন। ভোটের প্রচারে গিয়ে বন্ধ কারখানা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যখন এলাম, তখন তো দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া। অন্ধকার রাস্তাঘাট। শুধু ধোঁয়াই বেরোচ্ছে। এত কারখানা হয়েছে। তা হলে কী করে বলছেন যে, কারখানা হয়নি। কারখানা তো হচ্ছে। আরও কারখানা হবে।’ ব্যস, তারপর ধোঁয়া নিয়ে একের পর এক মিম!

বিতর্কের আবহেই এবার হুগলিতে যে কারখানা রয়েছে, তার প্রমাণ দিলেন রচনা। ঈদের সকালে বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার পথে রাস্তার পাশে কারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে যান রচনা। করে ফেলেন এখটা ভিডিও। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমাদের হুগলির ধোঁয়া। সিগারেট, বিড়ির ধোঁয়া নয়। এটা মেশিনের ধোঁয়া। আমি যাতায়াতের পথে সব সময় দেখি।’

এদিকে তৃণমূল প্রার্থী রচনার এই মন্তব্য বিজেপি প্রার্থী তথা হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কানে যেতেই তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘কীসের ধোঁয়া বলতে পারব না। সিগারেটের না কী চিমনির ধোঁয়া!আমি জানি না, উনি কী দেখতে পেয়েছেন।’ প্রশ্ন ছুঁড়ে লকেট বলেন, ‘আমি তো কোনও উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি না। কোনও বড় শিল্প কি এসেছে?’

আগামী সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। হুগলি যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তা বলাই বাহুল্য। আর যেখানে যুযুধান দুই রচনা-লকেট, সেখানে পারদ যে আরও চড়বে তা বলাই যায়।