Purba Medinipur: পরিবারকে সামাজিক বয়কট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

এগরা ( পূর্ব মেদিনীপুর ) ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা শিকার পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার এগরায় এক পরিবার। ওই পরিবারকে সরাসরিভাবে সামাজিক বয়কট করার অভিযোগ উঠলো…

এগরা ( পূর্ব মেদিনীপুর ) ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা শিকার পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার এগরায় এক পরিবার। ওই পরিবারকে সরাসরিভাবে সামাজিক বয়কট করার অভিযোগ উঠলো গ্রামেরই মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের বারিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। যদিও এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

সূএের খবর, এগরা ১ ব্লকের বর্তনা গ্রামের ছবিরানী মাইতি নামের এক মহিলার পরিবারকে পুরো গ্রামবাসী মিলে বয়কট করে রেখেছে বলে অভিযোগ।অভিযোগকারী ওই মহিলার দাবি তাঁর এক প্রতিবন্ধী বোন দীর্ঘদিন তাঁদের বাড়িতেই থাকতেন। প্রতিবন্ধী বোন মারা যাওয়ার আগে ছবিরানী মাইতির নামে একটি ৪ ডেসিমেল জায়গা দানপত্র করে যান। প্রতিবন্ধী বোন মারা যাওয়ার পর ছবিদেবীর ভাইয়েরা ওই ৪ ডেসিমেল জায়গা দখল নেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় এলাকার তৃণমূল নেতাদের দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ছবিরানী মাইতি’র পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে। শুধু বয়কট নয়, চাষের জমিতে জল বন্ধ, কল বন্ধ, হাটে বাজারে দোকানের জিনিসপত্র- সহ ওষুধ পত্র বন্ধ করে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও এক ঘরে করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।

   

এদিন অসহায় ছবিরানী মাইতি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন ” আমি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, এগরা থানা, জেলা পুলিশ সুপার ও মহকুমা শাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু নির্বিকার প্রশাসন। আজও ওই সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। আমার পরিবার খুব অসহায় মধ্যে রয়েছি “।

যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা। এগরা ১ ব্লকের বারিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন ” পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অবিলম্বে আমরা এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো “।

কিন্তু কটাক্ষ করতে অবশ্য দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার ইনচার্জ অরুপ দাস বলেন ” তৃণমূল কংগ্রেস চলছে শুধু টাকার উপর নির্ভর করে। কাটমাণি যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে। হয়তো অসহায় বৃদ্ধার সুযোগ নিয়েই তারই আত্মীয়ের কাছ থেকে মোটা টাকা এই সমস্ত কর্মকাণ্ড করছে। এর নির্দশন শুধু বরিদা নয় পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে যে যাই বলুক না কেন! কবে অসহায় ঐ বয়স্ক মহিলার সমস্যার সমাধান হবে না কি আধুনিক যুগে বাস করেও মধ্যযুগীয় বর্বরতার স্বীকার হতে হবে। সেটাই এখন দেখার “।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।