কলকাতা আসার মৈত্রী এক্সপ্রেস রুখে বিক্ষোভ, কোটা বিরোধী ক্ষোভে বাংলাদেশে অস্থির

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য সংরক্ষণ নীতি তথা কোটার সংস্কার ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ। গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রর মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আরও মৃত্যুর সংবাদ…

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য সংরক্ষণ নীতি তথা কোটার সংস্কার ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ। গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রর মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আরও মৃত্যুর সংবাদ আসছে। উত্তরোত্তর বাড়ছে আন্দোলনের গতি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্র লীগের সংঘর্ষে বহু জখম। প্রথমদিকে মার খেলেও কোটা বিরোধীরা এবার পাল্টা প্রত্যাঘাতে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitree Express) আটকে দিলেন তারা।

আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitree Express) ঢাকা থেকে কলকাতা আসছিল। গাজীপুরের জয়দেবপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরোধ করে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন। অবরোধের জেরে ঢাকার সঙ্গে রেলপথে দেশটির অন্যান্য অংশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

   

বাংলাদেশ রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা রেললাইনের ওপর অবস্থান করে এই অবরোধ শুরু করেছেন। মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা চিন্তিত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

মেধার ভিত্তিতে চাকরি দাবিতে উত্তাল পদ্মাপারের বাংলা, মার্কিন মন্তব্যে হাসিনার রক্তচাপ বাড়ছে

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জুড়ে অস্থিরতা। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। হামলা ও পাল্টা হামলায় আসছে মৃত্যুর খবর।

কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ”আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কি বলে, তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার সময় হয়। তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।”

মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দাবিতে পড়ুয়া বিক্ষোভে গরম পদ্মাপারের জনজীবন, চাপে হাসিনা

ঢাকায় একটি সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন। এরপর ৭ থেকে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন। আজ যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি। হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”