Rahul Gandhi: ‘রেলের টিকিট অবধি কাটতে পারছি না’, মোদী সরকারকে তুলোধনা রাহুলের

লোকসভা ভোটের মুখে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করল কংগ্রেস (Congress)। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ করেন, ‘কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে…

লোকসভা ভোটের মুখে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করল কংগ্রেস (Congress)। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ করেন, ‘কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটে যাতে কংগ্রেস লড়তে না পারে তার জন্য হামলা করা হচ্ছে নানাভাবে।’ 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “এটি কংগ্রেস দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নয়, এটি ভারতীয় গণতন্ত্রকে ফ্রিজ করা। বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না- আমরা বিজ্ঞাপন দিতে পারছি না, আমাদের নেতাদের কোথাও পাঠাতে পারছি না। এটা গণতন্ত্রের ওপর হামলা”।

দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য এটি অপরিহার্য যে নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয় এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একটি সমানভাবে কাজ করার জায়গা সরবরাহ করা হয়। বিগত কয়েকদিনে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলেছে। সেই স্কিমের আওতায় বর্তমান শাসক দল হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে তাদের হিসাব ভরেছিল। অন্যদিকে ষড়যন্ত্রে প্রধান বিরোধী দলের ব্যাংকের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যাতে তহবিলের অভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকে। এটি ক্ষমতাসীন দলের একটি বিপজ্জনক খেলা, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। এই দেশে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে।”

খাড়গে বলেন, “বিজেপি কীভাবে কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তা আমি উল্লেখ করতে চাই না। সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে, আমি আশা করি শীঘ্রই সত্যিটা আমাদের সামনে আসবে। আমি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে আবেদন করছি যে তারা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় তবে তারা আমাদের অবাধে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রবেশের অনুমতি দিক। কোনও রাজনৈতিক দলই আয়করের আওতায় আসে না।”

এদিকে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী বলেন, “এই ইস্যুটি কেবল কংগ্রেসকে প্রভাবিত করে না, এটি আমাদের গণতন্ত্রকেই সবচেয়ে মৌলিকভাবে প্রভাবিত করে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ হিমায়িত করা হচ্ছে এবং আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”