শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ যেতেই মুখ্যসচিবকে প্রশ্ন রাজ্যপালের

রবিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে পুলিশের অভিযান। যা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই অভিযোগের পরেই…

Police raid the Nandigram office of state opposition leader Suvendu Adhikari

রবিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে পুলিশের অভিযান। যা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই অভিযোগের পরেই মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷

এদিন ট্যুইট করে রাজ্যপাল লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের, তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছি। একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুর অফিসে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ কেন হানা দিল পুলিশ?

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা মেঘনাদ পালের স্ত্রী মহুয়া পাল ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে একটি ব্যাংকের ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মহুয়া পালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে তদন্তের জন্যই মহুয়া পালের খোঁজে নামে তমলুকের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রবিবার নন্দীগ্রামে মাহুয়া পালের বাড়িতে যায় পুলিশ। মহুয়া পালকে বাড়িতে না পেয়ে নন্দীগ্রামে বিধায়কের কার্যালয়ে হানা দেয় পুলিশ।

হঠাৎ পুলিশের অভিযানে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। ট্যুইট করে তিনি লেখেন, কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে, কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে, আচমকা মমতার পুলিশ আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করেছে।মমতার সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।

গোটা বিষয়টি তৃণমূলের মদতে হয়ে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ওই বাড়ি থেকেই ভোটার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উনি যদি ভুল কাজ না করে থাকেন তাহলে ভয় কীসের৷