Pingla Rape: পরপর ধর্ষণ পিংলায়, এলাকাবাসীর সামনে সুশান্ত ঘোষের নিশানায় মমতা

  রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে মাননীয়া বলতেও জিভের আড়ষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উনি পদাধিকার বলে মাননীয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলায় পরপর ধর্ষণের প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া…

 

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে মাননীয়া বলতেও জিভের আড়ষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উনি পদাধিকার বলে মাননীয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলায় পরপর ধর্ষণের প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। দাপুটে নেতাকে দেখে এলাকাবাসী জড়ো হন তাঁর সামনে। অনেকেই বলেন, ‘ভয়ে কাঁটা হয়ে আছি।’

পিংলায় গত এক সপ্তাহের মাথায় ফের ধর্ষণ। প্রথমে প্রতিবন্ধী মহিলাকে কালুখাঁড়ায় ধর্ষণের পর এবার উজান মৌজায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ, ধর্ষণের পর প্রমান লোপাট করতে মহিলাকে খুন করে দেহ ধান জমিতে ফেলে দেওয়া হয়। ওই আদিবাসী মহিলার বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর।

প্রথমে প্রতিবন্ধী ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পর সুশান্ত ঘোষ যান খুন হয়ে যাওয়া আদিবাসী মহিলার পরিবারে কাছে। গ্রামবাসীরা জানান, পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল। সেই দাবি মানেনি পুলিশ।

দোষীদের গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নিলে এবার জনরোষের চেহারায় আন্দোলন হবে। জানিয়েছেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।

বাম জমানায় দীর্ঘ সময়ে গড়বেতার বিধায়ক ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। বাম জমানার পতনের বছরেও জয়ী হন। এরপর বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ড ও নেতাই গণহত্যার মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ও জেলে পাঠানোর পর রাজনৈতিক বিতর্ক আরও তীব্র হয়। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ টেকেনি। তিনি নিষেধাত্মক কাটিয়ে গত বিধানসভা ভোটের আগে জেলায় ফেরেন। ভোটে শালবনী কেন্দ্রে বাম প্রার্থী হন। জিততে পারেননি। এরপর সিপিআইএম জেলা সম্পাদক পদে এসেছেন তিনি।