Paschim Bardhaman: সবজির দামে আগুন, কংগ্রেস খুলল ‘মহব্বত কা দুকান’

বাজারে আকাশ ছোঁয়া সবজির দাম। যেই সবজিতে হাত দেওয়া সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। তা সত্ত্বেও মুখে কুলু এটেছেন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। সাধারণ মানুষের এই…

বাজারে আকাশ ছোঁয়া সবজির দাম। যেই সবজিতে হাত দেওয়া সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। তা সত্ত্বেও মুখে কুলু এটেছেন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে, রবিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে মহকুমা যুব কংগ্রেস আশীষ মার্কেটে একটি অভিনব প্রতীকী কর্মসূচী গ্রহন করলেন। যেখানে কংগ্রেসের “মহব্বত কা দুকান” বসিয়েছে তারা।

বাজারে সবজিতে হাত দেওয়া বেজায় দায়। টমেটো ও লঙ্কা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজির দাম যেন আকাশছোঁয়া। যা কিনে রান্না চাপানো সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে একই সমস্যায় ভুগছেন চাষীরাও। পাইকারি সবজি বিক্রি করে দাম পাচ্ছে না অথচ সেই সবজি পরে আকাশ ছোঁয়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার চোখে কালো পর্দা বেঁধে বসে। ভূমিকা নেই টাস্ক ফোর্সের।

এ বিষয়ে এক উদ্যোগকারী জানিয়েছেন, “আপনারা জানেন যে নরেন্দ্র মোদি এসেন্সিয়াল কমিউনিটি অ্যাক্ট আইন তুলে দিয়েছে। স্বভাবতই বিভিন্ন জায়গায় গরিব চাষীদের কাছ থেকে আদানি, আম্বানির মত বড় বড় শিল্পপতিরা এগুলোকে তুলে নিচ্ছে। এবং একটি আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস করে তারা বাজারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিবাদ।

তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগ করে বলেন, “অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে কিন্তু সেই টাস্ক ফোর্সের দেখা পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাজারে পাবেন না। আমরা যে গরিব চাষিরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পণ্য উৎপাদন করেন। এই জিনিসটা তারা ডাইরেক্ট বাজারে এসে বিক্রি করলে তার দাম যে কমছে”।

তিনি রাহুল গান্ধীর পদক্ষেপ নিয়ে বলেন, এই নিয়ে রাহুল গান্ধীর যে জিনিস জানিয়ে তিনি পদযাত্রা করেছিলেন, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত মহব্বত কা দোকান খোলার জন্য। আমরা সেই মহব্বত কা দোকান খুলেছি মানুষ যেন সেই ন্যায্য মূল্যের জিনিস পায়। তাই আজকে আমাদের এই প্রতীকী প্রতিবাদ”।