মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলার গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থী আবদুল রহমানের মৃত্যুকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতবড় অভিযোগের পরেও মৃত আবদুলের নামে চার্জশিট পেশ৷ পুলিশের তদন্তে অনাস্থা পরিবারের। সেই মৃত্যু রহস্য তদন্ত করতে এবার সিবিআইকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বাড়ি থেকে অদূরে আবদুলের দেহ উদ্ধার হয়। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয় ৯ পাতার সুইসাইড নোট৷ সেখানে আবদুল জানিয়েছিলেন গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৬ লক্ষ টাকা দিবাকর নামের এক ব্যক্তিকে দিয়েছিল আবদুল৷ সেখানে ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির নামও৷
ঘটনার পর তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অথচ দেখা যায় সেই চাকরিপ্রার্থী আবদুল রহমানের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। কিন্তু সুইসাইড নোটে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে? তা খতিয়ে দেখার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানান আইনজীবীরা৷
এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক প্রাক্তন আধিকারিকরা জেলবন্দী। এরই মধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।