কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ উত্তরবঙ্গ, ত্রাণ নিয়ে কলকাতা থেকে এল না কেউ

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে কালবৈশাখী (Kalbaishakhi) ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ জায়গা। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোচবিহার। গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ঝড়ের তান্ডবের কারণে মৃত্যু…

North Bengal was ravaged by the Kalbaishakhi storm

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে কালবৈশাখী (Kalbaishakhi) ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ জায়গা। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোচবিহার। গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ঝড়ের তান্ডবের কারণে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। জখম হয়েছে বহু । এত বড় দুর্ঘটনার পরেও কলকাতা থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও নেতা বা মন্ত্রীর পা পড়েনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। যা নিয়ে বারংবার উঠছে প্রশ্ন।

এ প্রসঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘যতদূর জানতে পেরেছি, তৃণমূল ত্রাণ দেওয়ার নামে নানাভাবে চাঁদা তুলছে। প্রশাসন, সরকার থাকতে শাসক দলকে চাঁদা তুলতে হচ্ছে’।

অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারী জানিয়েছেন, বিজেপি তো কখনও কোনও ভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তাই তাদের কথা গুরুত্বহীন।ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারি, ঘুঘুমারির মত বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা কিছু খাবারের প্যাকেট, ট্রিপল দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে। প্রশাসনের তরফে ট্রিপল এবং খাবার দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে ওই তিনটি গ্রামে ১১ টি কিচেন চালানো হয়েছে। যাতে কোনও মানুষই অভুক্ত না থাকতে পারে, কিন্তু তার পরেও বিরোধীরা তুলছে একের পর এক প্রশ্ন।

শুক্রবার  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হাজির হয়েছিলেন উদয়ন গুহ। বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ৫ লক্ষ টাকার টিন কেনা হয়েছে। তৃণমূলের আবেদনে সাড়া দিয়েছে সাধারন মানুষ। সরকারি সাহায্য পাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেজন্য সময় প্রয়োজন। আমরা তো আর বসে থাকতে পারি না।