বুধবার সকাল বেলা আচমকাই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (TMC MLA Krishna Kalyani) বাড়িতে হানা দেয় ইডি ও আয়কর বিভাগ। তারপর থেকেই চলছে তল্লাশি অভিযান৷ বিধায়ককে কার্যত গৃহবন্দী করে চলছে সেই কর্মসূচি। এদিকে সন্ধ্যে হতেই বাড়ানো হল ইডি ও আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের সংখ্যা৷ বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা৷ তবে কি গ্রেফতার হতে পারেন বিধায়ক? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, সন্ধে ৬ টা নাগাদ আরও একজন আধিকারিক পৌঁছে যান বিধায়কের বাড়িতে। সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও। পরে রাত আরও বাড়তে, প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ আরও তিনজন অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পৌঁছে যান বিধায়কের বাড়িতে। এতেই সন্দেহ হচ্ছে আজই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন৷ বিধানসভার অন্দরে শুভেন্দুর রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তারপরেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, কৃষ্ণ কল্যাণীর একাধিক ঠিকানায় হানা কেন্দ্রীয় সংস্থা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানুতোর শুরু হয়েছে।
এদিন খবর পেয়ে বিধায়কের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণীর অনুগামীরা। তাঁদের কথায়, উনি জনপ্রিয় বিধায়ক। ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়েছে। পরশু এখানে সভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা সহ্য করতে না পেরে ইডি পাঠানো হচ্ছে। দুপুরে অনুগামীদের সঙ্গে হাত নেড়ে বার্তা দেন বিধায়ক। তার পর থেকেই বাড়ছে উত্তাপ।
সূত্রের খবর, কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি সহ একাধিক ব্যবসায়িক ঠিকানায় চলছে তল্লাশি অভিযান। নজরে রয়েছেন মালদহের এক তৃণমূল নেতা। অন্যদিকে, সকাল থেকেই বিধায়কের বাড়ির ভিতর বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখছেন আয়কর অফিসাররা। আলমারি খুলে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিত, তাতে অনুমান করা হচ্ছে অনেক রাত পর্যন্ত চলতে পারে আয়কর দফতরের এই অভিযান। তার পরেই কি গ্রেফতার? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।