উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ড্রাইভার চাকরি! TMC-BJP আকচা আকচি

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। এরই মাঝে ফের শাসক দলের দুই নেতার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এল। সেইসঙ্গে…

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। এরই মাঝে ফের শাসক দলের দুই নেতার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এল। সেইসঙ্গে ফাঁস হল অডিও ক্লিপও।

এবার ড্রাইভার পদে চাকরি পাইয়ে দিতে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই তৃণমূল নেতার কথোপকথনের অডিও। অডিওতে যাঁদের গলা শোনা যাচ্ছে তাঁরা দুজনই তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বলে খবর।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

অভিযুক্তদের নাম হল প্রভাতকুমার যাদব, অমিতকুমার গুপ্তা। অডিওর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন অমিত। তবে প্রভাতের দাবি, অমিত তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল করানো হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটিতে শোনা যাচ্ছে, ড্রাইভার পদে একজনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রভাত, অমিতকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড অ্যাগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (কোফাম) এর এক কর্মীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। সেই কথোপকথনে চাকরির জন্য তিন লক্ষ টাকা ঘুষের কথাও বলা হয়েছে। অত্যন্ত গোপনে পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে বলা হয়েছে। পরিকল্পনা জানাজানি হলে দুজনই যে ফেঁসে যেতে পারেন সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন প্রভাত।

কেন NBU ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে ফিসফিস, কেন এত ভয় ? পড়ুন

NBU: মমতা সরকারের আমলে শিক্ষা দফতরে বিপুল দুর্নীতি, গোয়েন্দা নজরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

ভিডিও ফাঁস হতেই শোরগোল পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও তৃণমূল শিবিরে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অধিকারিক বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাইছেন না। অমিতের বক্তব্য, অডিওটি পুরোনো। তবে যে কথোপকথন হয়েছে সেটা সঠিক।

প্রভাতের বক্তব্য, ‘অমিত বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তাই দলকে ও আমাকে কালিমালিপ্ত করতে পরিকল্পনা করে মিথ্যা অডিও ছড়িয়ে দিয়েছে। ওই ধরনের কোনও কথা আমি ওকে বলিনি। তাছাড়া ওই ধরনের কোনও নিয়োগও হয়নি। সবটাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।’

তবে তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, তৃণমূল বিশ্ববিদ্যালয়কে ওদের পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে। অস্থায়ী কর্মী থেকে অধ্যাপক বা আধিকারিক, বেশিরভাগ নিয়োগের ক্ষেত্রেই লক্ষ-লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। যে অডিও ভাইরাল হয়েছে তাতেই সবটা স্পষ্ট।