এবার অশান্ত সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, রিপোর্ট চাওয়া হলে মুখ্যসচিব, পুলিশের কাছে

বিগত দেড় মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সুন্দরবন বদ্বীপের একটি ছোট্ট দ্বীপ রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সন্দেশখালি গ্রাম থেকে উঠে আছে একের…

বিগত দেড় মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সুন্দরবন বদ্বীপের একটি ছোট্ট দ্বীপ রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সন্দেশখালি গ্রাম থেকে উঠে আছে একের পর এক অভিযোগ। রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি-১ গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) একটি দল।

এই ঘটনার পরের দিন থেকে এক কথায় কর্পূরের মতো যেন গায়েব হয়ে গিয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বিগত ৫০ দিনের কাছাকাছি সময় থেকে তাঁর খিজ চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। এদিকে হাইকোর্টে অবধি এই মামলা গড়িয়েছে। তবে আড়ালে থেকেই নিজের আইনজীবী মারফত আগাম জামিনের আবেদন করছেন শাহজাহান।

এদিকে রাত বিরেতে স্থানীয় মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে ধর্ষণ, জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহজাহান ও অনেকের বিরুদ্ধে। এদিকে শাহজাহানের শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালি।

সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে তদারকি করতে এবার বাংলায় পা রাখলেন জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনের সদস্যরা। আজ জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অনন্ত নায়েক বলেন, “সন্দেশখালির বিষয়ে কমিশন অভিযোগ পেয়েছে। আমরা একই প্রেক্ষাপটে সেখানে যাচ্ছি। এটা কমিশনের নিয়ম যে আমরা ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাই। আমরা তাদের তিন দিন সময় দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বাস্তবতা দেখতে যাচ্ছি। আমরা অভিযোগকারীদের সঙ্গে দেখা করতে চলেছি।”