দলের রাজ্য সভাপতির প্রতি চরম ক্ষোভ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে কটাক্ষ চলছে বিজেপির (BJP) অন্দরে। এর মাঝে এসেছে বড় আঘাত। বিধায়ক (MLA) হয়েছেন বিদ্রোহী। তিনি পদত্যাগ করলেন সাংগঠনিক কাঠামো থেকে।
মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ (Gaurishankar Ghosh) চিঠি দিয়ে বিজেপি রাজ্য সম্পাদকের পদ ছাড়লেন। চিঠিতে তিনি দলের নেতাদের মুন্ডপাত করেছেন। জানা যাচ্ছে,আরও কয়েকজন বিধায়ক তাঁর পথে বিদ্রোহী হতে চলেছেন। বাড়ছে দলত্যাগ সম্ভাবনা।
গৌরীশংকর ঘোষের পদত্যাগে বিজেপির অন্দরমহলে লংকাকাণ্ড বেঁধেছে। বিজেপি রাজ্য কর্ম সমিতি থেকে একের পর এর পদত্যাগ পত্র জমা পড়ছে।
আরও এক কদম এগিয়ে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরা সোশ্যাল সাইটে হইচই ফেলে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,
“#আসলরহস্যটাকি
কেন এতগুলো ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত !!!
আমি যতদূর জানি গৌরীশংকর বাবু একজন ভালো সংগঠক !!! যাদেরকে এতদিন গুরুত্ব দেয়া হলো তারা সব দল ছেড়ে চলে গেছে, আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিলো, তারা ইস্তফা দিচ্ছেন !!!
আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা আমার মতো, যারা বঙ্গ-বিজেপির অসময়ে —–
…”মানে যখন পশ্চিমবঙ্গে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে ভয় পেত অর্থাৎ বঙ্গ-বিজেপির সুসময়ে যোগ দেওয়া রাজিব-সব্যসাচী এবং কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মত জামাই আদর খাওয়া মানুষদের বিজেপিতে আসার অনেক আগে”….
—— বিজেপিতে যোগদান করে, রাস্তায় নেমে যথেষ্ট পরিমাণে আন্দোলনও করেছিলো যখন অন্যদের মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা যেত না, তৃণমূলের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ কেসও খেয়েছে আর এখন প্রতিনিয়ত “দাদা মাঠে নামুন, আপনাদের আর আন্দোলনে দেখা যায় না কেন? শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে লেকচার দিলে হবে ??” – এই ধরনের
প্রশ্নের সম্মুখীন হন…
….কিন্তু তবুও রাজ্য বিজেপি থেকে দূরে, দিল্লিতে বা অন্য রাজ্যে পার্টির কাজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে !!!
….আসল রহস্যটা কি ???!!!”
উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর দলীয় নেতাদের মুন্ডপাত করতে শুরু করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘অপরিণত নেতাদের জন্যই উপনির্বাচনে এই ফল হয়েছে। তৃণমূলের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে’।
বিজেপি রাজ্য নেতাদের উপর আরও হামলা হবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জমা ক্ষোভ উগরে দিতে চলেছেন দলেরই একাংশ নেতা। প্রবীন নেতা তথাগত রায় আগেই বলেছেন রাজ্যে বিজেপির ভবিষ্যত অন্ধকার।