Fishing Cat: বাঘের বনে বেশি নেই বাঘরোল, সুন্দরবন থেকে এসেছে গণনার ফল

অত্যন্ত নিরীহ প্রাণী বাঘরোল বা মেছো বিড়াল (Fishing Cat) এমনিতেই বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় পড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপ্রাণী হিসেবে স্বীকৃত বাঘরোল মাঝে মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।…

cat-fish

অত্যন্ত নিরীহ প্রাণী বাঘরোল বা মেছো বিড়াল (Fishing Cat) এমনিতেই বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় পড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপ্রাণী হিসেবে স্বীকৃত বাঘরোল মাঝে মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। খুবই নিরীহ এই প্রাণীকে বাঘ মনে করে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার। রাজ্য বনদফতর সম্প্রতি বাঘরোল গণনা চালিয়েছে সুন্দরবনে (Sundarban)। পরিসংখ্যান যা এসেছে তাতে স্পষ্ট আর বেশি নেই বাঘরোল।

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা জানতে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় ছবি তুলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছ। বনদফতর সূত্রে খবর, সেই রিপোর্ট তৈরি হলেই বাঘের সংখ্যা জানানো হবে রাজ্যের তরফে। তবে বাঘ গুণতে গিয়ে বাঘের এলাকা সুন্দরবনের বাঘরোল কত তার একটা প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে।

সুন্দরবনের জঙ্গলে কত বাঘরোল বা মেছো বিড়াল রয়েছে সেই সংখ্যা প্রকাশ করল বনদফতর। বিশ্লেষণ অনুযায়ী বর্তমানে সুন্দরবনের জঙ্গলে নুন্যতম ৩৮৫ টি মেছো বিড়াল রয়েছে। অরণ্য ভবনে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ বনদফতরের আধিকারিকরা সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের কোনো জঙ্গলে প্রথম এই বাঘরোল বা মেছোবিড়াল গণনার কাজ করা হয়েছে বলে দাবি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের।

বন দফতরের হিসেবে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বসিরহাট রেঞ্জ, সজনেখালি রেঞ্জ, জাতীয় উদ্যান পূর্ব রেঞ্জ এবং জাতীয় উদ্যান পশ্চিম রেঞ্জে বাঘের ছবি তোলার জন্য বসানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ১৩০, ৯৭, ৬০ ও ৯৮ টি বাঘরোল বা মেছো বিড়াল। সব মিলিয়ে বর্তমানে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কমপক্ষে ৩৮৫ টি বাঘরোল রয়েছে। 

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিনের নেতৃত্বে বনকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে গত বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাঘের সঠিক সংখ্যা জানতে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়। একমাস ছবি তোলার পর সেই ছবি বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। বাঘ গণনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

বাঘ গণনার পাশাপাশি একই স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় সুন্দরবনের জঙ্গলে থাকা আরও অন্যান্য জীব জন্তুর ছবিও উঠেছে। এবার তাদের মধ্যে বাঘরোল বা মেছো বিড়ালের ছবি দেখে তাদের সংখ্যা নির্ধারণের কাজ শুরু করে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। বন দফতর জানিয়েছে, বাঘরোল বা মেছোবিড়ালের গায়ের ছোপ ছোপ দাগ, কপাল, চোখ দেখেই তাদেরকে পৃথক করা হয়েছে।

সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের বসবাস সেই জায়গা নির্ধারণ করে মোট ৭৪৮ টি জায়গায় ১৪৯৬ টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল।