Jhargram: নকল মাওবাদী পোস্টার? প্রশ্ন সবার, তবুও কাঁপছে তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব

আসল নাকি নকল মাওবাদী ? গোষ্ঠী রাজনীতির সুযোগ নয়ত? এমনই কিছু প্রশ্ন উঠছে লাল কালিতে লেখা মাওবাদী হুমকি পোস্টার থেকে। লাল কালিতে লেখা পোস্টার। এতে…

Maoist threat poster in jhargram

আসল নাকি নকল মাওবাদী ? গোষ্ঠী রাজনীতির সুযোগ নয়ত? এমনই কিছু প্রশ্ন উঠছে লাল কালিতে লেখা মাওবাদী হুমকি পোস্টার থেকে। লাল কালিতে লেখা পোস্টার। এতে লেখা আছে “এতদিন তৃণমূল খেলেছে জনগণের সঙ্গে। মাওবাদি খেলবে তৃণমূলের নেতার সাথে”। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহর সংলগ্ন এলাকায় এমন পোস্টার দেখে এই জেলার তো বটেই জঙ্গলমহলের বাকি জেলাগুলির (পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া) টিএমসি নেতারা ভয়ে কাঁটা। ভয়ে কুঁকড়ে গেছে বিজেপি।

সরকার ও বিরোধী পক্ষের নেতা মন্ত্রী বিধায়ক সবারই চিন্তা নিরাপত্তা ও দেহরক্ষী নিয়ে। শুধু সিপিআইএম নেতারা নিরাপত্তাহীন। অথচ বাম জমানায় মাওবাদীদের হাতে সর্বাধিক রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক খুনের ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছিল সিপিআইএম। দুশোর বেশি এমন খুন হয়েছিল।

হুমকি পোস্টারে বলা হয়েছে মাওবাদীরা খেলতে চায় তৃণমূলের নেতার সঙ্গে। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় এমন পোস্টার পড়ার পর পুলিশ সেগুলো বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করেছে। এদিকে আরও এক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চার জেলার পুলিশ মহলে, আদৌ এগুলো মাওবাদীদের পোস্টার?

মাওবাদী কার্যকলাপে বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন সাম্প্রতিক সবকটি পোস্টারের বয়ান। হামলার হুমকি একেবারে উড়িয়ে না দিলেও পোস্টারের বয়ান ভাবাচ্ছে পুলিশ ও আইবি অফিসারদের। যারা আগে মাওবাদী হামলার সময় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে কাজ করেছিলেন সেই অফিসারদের কয়েকজন পোস্টার দেখে সন্দেহ করেছেন।

কেন এই পোস্টার নিয়ে সন্দেহ? কিছু অফিসারের ধারণা, পোস্টারগুলিতে সর্বশেষে ‘মাওবাদি’ লেখা আছে। এমনটা তাদের নতুন ধারা কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন। অন্তত মাওবাদীরা তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এমন লেখে না বলেই মনে করছেন কিছু আইবি অফিসার। তাঁদের যুক্তি যেভাবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র গোষ্ঠিবাজিতে মগ্ন সেক্ষেত্রে পোস্টার দেওয়ায় প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর ভূমিকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর বিরোধী দল বিজেপির ক্ষেত্রেও একই ধারণা করছেন তাঁরা।

মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হয়েছে ১৫ দিনের অতি সতর্কতা। এই পনের দিন পর কী হবে? এটিও প্রশ্ন। আইবি ও পুলিশ অফিসারদের ধারণা, দ্রুত আরও একটি মাওবাদী বনধের মুখে পড়তে চলেছে জঙ্গলমহল। সেখানে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসুর মুক্তির দাবি থাকবে। তাঁকে এই বছর ঝাড়খণ্ডের পুলিশ গ্রেফতার করে।