কথায় আছে, ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। ইতিহাসের শহর কলকাতা এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে গঙ্গাপাড়ের মহানগর। ধরনায় বসবেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার। দোসরা ফেব্রুয়ারি। এতেই পুরোনো ইতিহাসের মিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার সময়ে মিল। ফেব্রুয়ারি।
সালটা ২০১৯। দোসরা ফেব্রুয়ারি। সেদিন ছিল রবিবার। তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। নগরপালের বাড়িতে যায় বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। লক্ষ্য চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত।
নিশানায় নগরপাল। তাঁর বাড়িতে সিবিআই। এর প্রতিবাদে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সুর চড়ান কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। ধরনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তোলপাড় দেশ। কিন্তু নগরপালের টিকি ছুঁতে পারেনি সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতারও করতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
এবার মমতার লক্ষ্য কেন্দ্রের বকেয়া বরাদ্দ আদায়। দু’দিনের ধরনা। ধরনার সঙ্গেই প্রশাসনিক কাজ। ধরনা মঞ্চের পাশে অস্থায়ী অফিস। সেই অফিস থেকেই সরকারি কাজ করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোটের আগে পথে মমতা। রাস্তায় নেমে রাজনীতি। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই উঠে এসেছেন মমতা। তৃণমূল স্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ধরনা যেন কাজে এল না। ৪২ আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিলেও জয় এল ২২ আসনে। রেকর্ড গড়ে বিজেপির ঝুলিতে ১৮ আসন। বাংলার রাজনীতির পাঁকে পদ্ম চাষের পাকাপাকি ব্যবস্থা।
ফের লোকসভা ভোটের আগে মমতার ধরনা। এবার কী হবে? আরও কয়েক মাসের অপেক্ষা।