মমতা কি টাটাদের কথাই ঘোষণা করেছিলেন?

২০০৭ সাল৷ সিঙ্গুর থেকে বিদায় নিয়েছে টাটা। এরপর টাটার এক লাখি গাড়ির কারখানা হল গুজরাতে৷ সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন টাটারা জলপাইগুড়িতে ইউনিট খুলছে৷ অনেকেই…

২০০৭ সাল৷ সিঙ্গুর থেকে বিদায় নিয়েছে টাটা। এরপর টাটার এক লাখি গাড়ির কারখানা হল গুজরাতে৷ সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন টাটারা জলপাইগুড়িতে ইউনিট খুলছে৷ অনেকেই ভেবেছিলেন সময় বদলে মতও বদলে ফেলেছেন টাটারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। সত্যিই কী টাটাদের কথা বলেছেন মমতা?

সোমবার জলপাইগুড়ির রানিনগরে কোকাকোলার কারখানার উদ্বোধন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী কথা স্পষ্ট করলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি বলেন, টাটার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলতে চাননি। জলপাইগুড়িতে বিনিয়োগ করেছে হিন্দুস্থান কোকাকোলা বেভেরেজেস।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা খুশি টাটারা জলপাইগুড়ির রানিনগরে ইউনিট করছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কাদের কথা বললেন সেটা স্পষ্ট হয়নি৷ ৬০০ কোটি টাকা তারা আবার বিনিয়োগ করছে। তাদের একটা বিশেষত্ব হল ওখানে ৬৬ শতাংশ মহিলা চাকরি করেন। আর বাংলায়ও যদি দেখেন, আমি যদি গত এক বছরের পরিসংখ্যান দিই, তাহলে শুধু মেয়েরাই প্রায় ৪৫ হাজার চাকরি পেয়েছে সরাসরি বিভিন্ন জায়গায়।

এমনকি অনুষ্ঠানে কোকাকোলার আধিকারিক বলেন, ৬৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। এই কারখানার ৬৬ শতাংশ মহিলা। এখানে সফট ড্রিঙ্ক প্রস্তুত হবে জানিয়েছেন তিনি৷ এ থেকেই স্পষ্ট হয়েছে টাটার সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা এখনও কাটেনি৷ বরং এই প্রসঙ্গে উঠে এল সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানায় রাজ্যে শিল্প কোথায়? বারবার এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা৷ আজ তাঁদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় শিল্প হচ্ছে না বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে৷ রাজ্যে অনেক শিল্প হয়েছে কেউ বুঝতে পারেনি৷ তবে কি সত্যিই কী তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে শিল্পের ওপর নজর পড়েছে সরকারের? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।