I.N.D.I.A. Alliance: বাংলার পথঘাট ছয়লাপ মমতা-সেলিম-অভিষেক-অধীর জোট পোস্টারে

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইন্ডিয়া জোট (I.N.D.I.A. Alliance)। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেমন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ অন্যান্য দলগুলি একসঙ্গে বেঁধেছে জোট। জোট বাঁধলেও সমস্যা শেষ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে…

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইন্ডিয়া জোট (I.N.D.I.A. Alliance)। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেমন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ অন্যান্য দলগুলি একসঙ্গে বেঁধেছে জোট। জোট বাঁধলেও সমস্যা শেষ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে মহম্মদ সেলিম এবং অধীর চৌধুরীদের অবস্থান স্পষ্ট। বিজেপি ও তৃণমূলকে এক পংক্তিতে রেখে উভয়ের বিরুদ্ধেই লড়াই জারি তাঁদের। এমন সমীকরণের মাঝে চব্বিশের আগে তুমুল বিতর্ক ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে ব্যানারে। ব্যানারে দেখা যাচ্ছে মমতা-অভিষেক-সনিয়া-রাহুল-সেলিম-সুজন সবার মুখ একসঙ্গে।

একটি ব্যানারে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সব দলের নেতাদের মুখ একসঙ্গে ছবি বাংলার রাজনীতিতে বিরল। এছাড়াও একই ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ইনক্লাব’, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিও। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে। এমন ব্যানার দেখা গেল হুগলির চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা-সহ অনেক জায়গায়। তবে কে বা কারা এই ব্যানার লাগিয়েছে দেওয়ালে? তার উল্ল্যেখ নেই কোথাও। কোনও দল বা কোনও সংগঠনের নাম নেই। এরপরই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর গুঞ্জন।

তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছে কারা এই ব্যানার ছড়িয়েছে তা তারা জানেন না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, ‘ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই।’
সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলছেন, ‘আমাদের নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যেখানে এই ধরনের পোস্টার দেখবে, যেন সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়া হয়।’

কংগ্রেসের হুগলি জেলা সহসভাপতি দেবব্রত চট্টোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘ইন্ডিয়া জোট হওয়ার পর বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। যাতে এই সমঝোতা ভেঙে যায়, সেই চেষ্টা করছে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাচ্ছে।’