‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সম্পর্কে তো গোটা বঙ্গ জানে৷ শুধু বঙ্গ কেন, এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতোই উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে অন্যান্য রাজ্যেও৷ উত্তরোত্তর বাড়ছে এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সদস্যের সংখ্যা৷ আর এরই মাঝে এবার হাজির ‘সরস্বতী ভাণ্ডার’! এটি আসলে কী জানেন? এর কাজই বা কী?
আসলে এই ‘সরস্বতী ভাণ্ডার’ কোনও সরকারি প্রকল্প নয়৷ এটি হল একটি প্রতিবাদ-আন্দোলন৷ লোকসভা নির্বাচন হোক বা অন্য কোনও নির্বাচন৷ ভোটের প্রচারে একটি রাজনৈতিক দল, অন্য রাজনৈতিক দলকে তুলোধনা করতে যে সব ভাষা, শব্দবন্ধনী ব্যবহার করে তা অনেক সময়ই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়৷ আর তারই প্রতিবাদ স্বরূপ হাজির হয়েছে ‘সরস্বতী ভাণ্ডার’৷
একেবারে অভিনব পদ্ধতিতে অশালীন ভাষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ালেন আন্দোলনকারীরা৷ এই আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী-লেখক ঝর্ণা ভট্টাচার্য৷ তাঁর মতে, ‘এই ভাষা-সন্ত্রাস চলতে থাকলে কিন্তু আমাদের এই যুগ সন্ত্রাসের যুগ বলেই পরিচিত হবে’।
এই সমস্ত প্ল্যাকার্ডের কোনওটিতে লেখা ছিল, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর সরস্বতী ভাণ্ডার, নির্বাচনী প্রচারে অশালীন ভাষা প্রয়োগ বন্ধ করুন।’ কোনওটিতে আবার লেখা ছিল অন্যকিছু।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিও বাংলার রাজনীতিতে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্যের জেরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এর জেরে দলে শোকজের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। আবার, অন্যদিকে কমিশনের তরফেও শোকজ করা হয় তাঁকে। এমন কুকথার উদাহরণ রাজনীতিতে নতুন নয়৷ সেই ট্রেন্ডকে রুখতেই এবার এই অভিনব প্রতিবাদ হিসেবে এল ‘সরস্বতী ভাণ্ডার’৷