ভোটের (Lok Sabha Election) সকালে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থী আলী ইমরান রামজ (ভিক্টর)-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভিক্টরকে ঘিরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। যদিও এসবে আমল দিতে নারাজ কংগ্রেস প্রার্থী।
তিনি বলেন, তৃণমূল নানা ভাবে আমাকে উত্তেজিত করতে চাইছে। কিন্তু ওদের প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। জয় বাংলা তো আসলে বাংলাদেশের স্লোগান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখানে এই স্লোগান দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। রায়গঞ্জে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামজ।
এর আগে উত্তর দিনাজপুরে জনসভা করতে এসে ভিক্টরকে আক্রমণ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এই কেন্দ্রে ভোট কাটার জন্য প্রার্থী হয়েছেন উনি। উনি ‘বিজেপির পাখির চোখ’। উনি নাকি বলে বেড়াচ্ছেন, ওনার নাকি টাকা নেই। দেব নাকি একটা লক্ষ্মীর ভান্ডার। ছেলেদের জন্য তো নেই। আমি আমার থেকে সাহায্য করতে পারি। লোকের থেকে আঁচল পেতে টাকা নিচ্ছেন। সব নিজের কাছে রাখবেন। উত্তর দিনাজপুরে আপনার প্রচার চলছে। কোথা থেকে আসছে টাকা?
এদিকে আজ সকালে ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভিক্টরকে কটাক্ষ করেন রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন, যিনি চাকুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের জামানত বজায় রাখতে পারেন না, তিনি আবার ভোটে ফ্যাক্টর হবেন কী করে? একই সঙ্গে তিনি বলেন, সকাল থেকে বুথে বুথে মা-বোনেদের ঢল নেমেছে। এটা দেখে আমি উচ্ছ্বসিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের ফলেই এমনটা সম্ভব হচ্ছে। ভোটের লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যেই ৮০ শতাংশ মহিলা। জয়ের ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে রয়েছে। এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবার দক্ষিণ কলকাতা আসন থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী করেছে কার্তিক পালকে। আর তৃণমূল টিকিট দিয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। আর বাম-কংগ্রেসের জোটের তরফে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ছেন আলী ইমরাম রামজ (ভিক্টর)।
রায়গঞ্জ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২৪৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৩৭ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩২০। রায়গঞ্জে ১৭৩০টি বুথে ভোট হচ্ছে। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ২১০। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জের ইসলামপুর, চাকুলিয়া, চোপড়া, গোয়ালপোখরের মতো জায়গায় হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল।