সপ্তম দফায় রি-পোল দাবি বিজেপির

এক্সিট পোলের (Lok Sabha Election) পর বিজেপির দাবি রি-পোল। শেষ দফায় এসে চরম ক্ষোভ। ফলতা বিধানসভা-সহ ডায়মন্ড হারবার ও মথুরাপুরের প্রায় সাড়ে চারশো বুথে ফের…

bjp-west-bengal-bengal-bjp-may-appoints-female-state-president-key-leadership-update

এক্সিট পোলের (Lok Sabha Election) পর বিজেপির দাবি রি-পোল। শেষ দফায় এসে চরম ক্ষোভ। ফলতা বিধানসভা-সহ ডায়মন্ড হারবার ও মথুরাপুরের প্রায় সাড়ে চারশো বুথে ফের ভোটের দাবি। কমিশনে চিঠি পদ্মশিবিরের। কটাক্ষ তৃণমূলের।

ভোটে জালিয়াতি, দখলদারি, ছাপ্পা-এসবের অভিযোগ ওঠে। ২০২১-এ ছিল সরকার বদলের গল্প। সেই সময়ও বলা হয়েছিল বিপুল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। বাহিনীও আসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট হয়। ভোটে অভিযোগ তোলা যায়নি, কিন্তু সরকারও বদলায়নি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও আশঙ্কা ছিল অশান্তির। শুরু থেকেই বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করে বঙ্গ বিজেপি।

   

কাশ্মীর থেকেও বেশি সংখ্যায় এবার বাহিনী আসে বাংলায়। সাত দফা মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এবার ১ হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। শুধুমাত্র সপ্তম দফাতেই মোতায়েন করা হয় ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা আগের সব দফাকে ছাপিয়ে যায়, তারপরেও একটা দুটো বুথে নয় গোটা একটা বিধানসভা এলাকায় পুনরায় ভোটের দাবি জানাল বিজেপি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো বুথে ফের ভোটের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছে পদ্ম শিবির।

উধাও মোদী ম্যাজিক! সিকিমে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি

ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ফলতা বিধানসভা এলাকার। মোট বুথ ২৬০। এই সবকটি বুথেই নতুন করে ভোটের দাবি তুলেছে বিজেপি। এছাড়া ডায়মন্ডহারবারের বাকি লোকসভা এলাকার ১৯১টি বুথ। এবং মথুরাপুর লোকসভার ১২টি বুথে ফের ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পদ্ম শিবির। সব মিলিয়ে ৪৬৩টি বুথে রিপোলের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বসিরহাটের ৫০০টিরও বেশি বুথে ফের ভোটের দাবি তুলেছেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থী। রেখা পাত্রর অভিযোগ, পাঁচশোর বেশি বুথে ভোট হয়নি। লুট হয়েছে।

রাজ্যে মোট ৪২টি লোকসভা আসন। তার মধ্যে মাত্র দুটি আসনে রিপোলের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির। সেটাও এক্কেবারে ভোটের শেষে। গণনার আগে। যা অনেকের মতেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেরই প্রশ্ন, এটা কি গণনার আগে রাজনৈতিক ধারনা তৈরির চেষ্টা বিজেপির? নাকি এগজিট পোলের পরিস্থিতি দেখে চাপ বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির? এ নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘বাংলায় বিজেপির সংগঠন নেই। অনেক জায়গায় এজেন্ট দিতে পারেনি। হারবে বুঝেই এসব করছে।’ সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ‘বাংলায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।’

বাংলার একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাবনা, বলছে সমীক্ষা