পুরভোটে বিজেপি ধাক্কা খেতেই বিস্ফোরক জয়প্রকাশ

চার রাজ্যের পুরনিগমেই জয় পেয়েছে বাংলার শাসক দল। চারিদিকে যখন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সবুজ আবীর মেখে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে সেই সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে…

চার রাজ্যের পুরনিগমেই জয় পেয়েছে বাংলার শাসক দল। চারিদিকে যখন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সবুজ আবীর মেখে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে সেই সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে নিজের দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ২২৬ টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছে। বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নিরুঙ্কুশ জয় পেয়েছে। বিজেপির ফলাফল অত্যন্ত শোচনীয়। চন্দননগর ও বিধাননগরে খাতা খুলতে পারেনি। বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, মুরলি ধর সেন লেনে দলের রাজ্য দফতর যা এখন লোহার গারদে ঢাকা এবং সিকিউরিটি দিয়ে ঘেরাও করা। এই ঘেরাটোপে কয়েকজন নেতৃত্ব কর্পোরেট অফিসের মোট রাজ্য বিজেপি চালাচ্ছে তাঁদের কাছ থেকে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জবাব দাবি করেছেন। রাজনৈতিক জ্ঞানহীন কিছু নেতা যারা বাংলা সম্পর্কে কিছু জানেন না তাঁদের হাতে দল ছাড়লে এই অবস্থাই হবে।

   

আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর প্রমাণ দেওয়া হোক, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

জয়প্রকাশ এই ধরাশায়ী ফলাফলের পর নেতৃত্বের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, রাজ্য সভাপতি অসহায় মজুমদার, ভার্চুয়াল চক্রবর্তী, টুইট মালব্য- এবার কোন নেতা পদত্যাগ করবেন? দল ঠিকভাবে না চালিয়ে কেবল হাইকোর্ট ও রাজভবন করলে বাংলায় টিকে থাকা যাবে না। তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, একটা রাজনৈতিক দল যারা কেবল হাইকোর্ট ও রাজভবনেই সীমাবদ্ধ। যে কর্মীরা ২০১৯-এর নির্বাচনে ১২১ টি বিধানসভায় এগিয়ে রেখেছিল, লোকসভায় ১৮ টি আসন দিয়েছিল তাঁদের সরিয়ে রেখেই কাজ চলছে। তিনি বলেন, যারা এখন দলের মাথায় বসে আছেন তাঁরা পুরনো বিজেপিকে বাদ দিয়ে দলের সংগঠনকে ধ্বংস করে অসৎ উদ্দেশ্যে দল চালানোর পরিকল্পনা করেছেন। তারই ফল বিজেপির এই পরিণাম।