রাজভবনের ‘বিতর্কিত’ ইন্দিরাকে রেখে সন্দীপের বিরুদ্ধে সিট গঠন রাজ্যের

আরজি কর (RG Kar case) কাণ্ড ক্রমেই জটিল আকার ধারন করছে। তারমধ্যে রাজনৈতিক রং লাগায় প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজ্যের প্রতিটি কোনায়। কর্মবিরতিতে রয়েছেন চিকিত্সকেরা।…

IPS Indira Mukherjee SIT member against Sandip Ghosh over financial irregularities in RG Kar Hospital

আরজি কর (RG Kar case) কাণ্ড ক্রমেই জটিল আকার ধারন করছে। তারমধ্যে রাজনৈতিক রং লাগায় প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজ্যের প্রতিটি কোনায়। কর্মবিরতিতে রয়েছেন চিকিত্সকেরা। সবার একটাই দাবি দোষীদের শাস্তি হোক, আর বিচার পাক নির্যাতিতা। যদিও এই ঘটনায় প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের রাডারে নিয়েছে সিবিআই। গত তিনদিন ধরে চলছে ম্যারাথন জেরা।

আরজি কর তদন্তেও হাথরস কাণ্ডের সিবিআই অফিসার সীমা পাহুজা

   

আর এমন অবস্থায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেই এবার স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করল রাজ্য প্রশাসন। সোমবার একটি একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। যার কাজ মূলত সন্দীপ ঘোষের অধীনে আরজি করের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম খুঁজে বের করা। আর তিন সদস্যের সিটেই রয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। যাকে নিয়ে মাস খানেক আগেই নবান্ন-রাজভবনের মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছেছিল সংঘাত।

আরজি করের আন্দোলনে পাক-বাংলাদেশ ‘লিঙ্ক’? লালবাজারে তলব বহু নেটিজেন

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এবছরের শুরুতেই হেনস্থার অভিযোগ তোলেন রাজভবনের এক মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও রাজ্যপালের নামে এফআইআর দায়ের করেন ওই মহিলা। ঘটনাটি নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর এই ঘটনার তদন্তভার পড়ে সিপি বিনীত গোয়েল ও ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ওপর। পুলিশি তদন্ত শুরু হতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। তদন্ত রুখতে ও এই পুলিশকর্তাদের তদন্ত থেকে সরাতে দিল্লির দ্বারস্থ হন রাজ্যপাল। রাজধানীতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও আর্জি করেন তিনি। ফলে এই পুলিশ কর্তাদের নিয়ে রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত চরমে পৌঁছায়। আর সেই ‘বিতর্কিত’ পুলিশকর্তাই এবার আরজি করে অনিয়মে সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা খতিয়ে দেখবেন। এছাড়াও এই সিটে রয়েছেন ডিআইজি ওয়াকার রেজা ও সিআইডির সোমা দাস মিত্র।

তবে রাজভবন মামলার তদন্ত থেকে সোজা আরজি কর কেসে ইন্দিরার এই ‘শিফট’ কী নিছক প্রশাসনিক পদক্ষেপ, নাকি কেন্দ্রের ইশারাতেই রাজ্যপালকে ‘স্বস্তি’ দিতে এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই।

অভিষেকের হাত থেকে দায়িত্ব যেতেই নয়া মিডিয়া কমিটি মমতার, কারা রয়েছেন তাতে?

এদিকে, ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে ওঠা সমস্ত আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত করবেন তাঁরা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি আর জি কর হাসপাতালে স‌্যালাইনের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছিল। স্যালাইন সরবরাকারী সংস্থা বকেয়া পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওষুধ কিনতে পারে হাসপাতাল। কিন্তু সেবার হাসপাতালের ফিনান্স বিভাগ থেকে তা হয়নি কেন? টিবির বিভিন্ন কিটসের গুনগতমান অত্যন্ত খারাপ ছিল। বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় হয়েছিল এমনটাই মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। তাই সেই তদন্তেই এবার সন্দীপের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হল নবান্ন।