আরজিকর (RG Kar) ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের প্রতিটি কোনায়। শুধু চিকিৎসকেরাই নয় প্রতিবাদে মুখর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। নির্যাতিতার বিচারের চাই। এই দাবি ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠছে। তবে পুলিশি তদন্ত আর আদালতের কাঠগড়ার মধ্যে যার কথা বারবার ভেসে উঠছে সে হলো মারিয়ানা বাখমায়ার। জার্মানির বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনাটি শুনতে একটু অতীতে যেতে হবে।
রাজভবনের ‘বিতর্কিত’ ইন্দিরাকে রেখে সন্দীপের বিরুদ্ধে সিট গঠন রাজ্যের
১৯৮০ সালের ঘটনা। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির সারস্টেড শহরে বাখমায়ার পরিবার বসবাস করত। সেই পরিবারেরই ছোট্ট সাত বছরের কন্যা ছিল অ্যানা বাখমায়ার। একদিন সে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রচুর পুলিশে তল্লাশি করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি ওই ছোট্ট শিশুকে। পরে একদিন লাস্ট উদ্ধার করা হয়। ওই ছোট্ট অ্যানাকে। ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় তার।
অভিষেকের হাত থেকে দায়িত্ব যেতেই নয়া মিডিয়া কমিটি মমতার, কারা রয়েছেন তাতে?
পুলিশি তদন্তে কসাই ক্লাউস গ্রাবোস্কিকে গ্রেফতার করে জার্মান পুলিশ। শুরু হয় আদালতের বিচার। দীর্ঘদিন ধরেই শুনানি চলছিল। কিন্তু একদিন ধৈর্য হারালেন ছোট্ট অ্যানার মা মারিয়ানা। আদালতের ভেতর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। উল্টোদিকে অপরাধী ক্লাউজ। নিজের কোট থেকে নাইন এমএম পিস্তল বের করে সাতখানা গুলি করলেন আর মেয়ের ধর্ষক ক্লাউজকে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে উল্টে মৃত্যু হয় অপরাধীর। আদালত থেকেই খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন মারিয়ানা।
আরজি কর তদন্তেও হাথরস কাণ্ডের সিবিআই অফিসার সীমা পাহুজা
দীর্ঘদিন পর ছাড়া পেয়েই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর বেশি দিন বাঁচেননি। নিজের মেয়ে অ্যানার পাশেই কবর দেওয়া হয় মা মারিয়ানাকে। পরবর্তীতে তাঁকে নিয়ে বেশকিছু সিনেমাও হয়েছে। যদিও ওই ঘটনা আজও ভুলতে পারিনি জার্মানিরা। কারণ নিজের মেয়ের বিচারের জন্য বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছিলেন মা।
আজ প্রায় ৪৫ বছর পর আরজি কর ঘটনার সঙ্গে বারবার মারিয়ানার এই গল্পটি ফিরে আসছে।