Hooghly: ভোট লুঠের উৎসব! বাংলার লক্ষ্মী হাতে নিয়েছে বুলেট!

ভোটের দিন হাতে গুলি! শাঁখা-পলাা পরা গৃহবধূ দেখালেন কী করে তাঁকে খুন করতে এসেছিল দুষ্কৃতিরা। তাঁর অভিযোগ, গুলি চালিয়েছিল তৃণমূলের কয়েকজন। আরও অভিযোগ, পুলিশকে জানানোর…

ভোটের দিন হাতে গুলি! শাঁখা-পলাা পরা গৃহবধূ দেখালেন কী করে তাঁকে খুন করতে এসেছিল দুষ্কৃতিরা। তাঁর অভিযোগ, গুলি চালিয়েছিল তৃণমূলের কয়েকজন। আরও অভিযোগ, পুলিশকে জানানোর পরও গুলি বা গুলির খোল উদ্ধার করেনি পুলিশ। এই ঘটনা হুগলির তারকেশ্বরে ঘটেছে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তিনি।

তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টিপনা এলাকার বাসিন্দারা বলছেন সকাল থেতে বুথে বুথে লুঠ চলছে। পুলিশ নেই। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা নেই।

অভিযোগ এই এলাকার নির্দল প্রার্থীর মেয়েকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একটি গুলি ও একটি গুলির খোল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টিপনা এলাকার বাসিন্দারা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, ঘরের লক্ষ্মীর হাতে গুলি ধরালেন কেন? তারা বলছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা বলে ভোট চাইলেন আর ভোটের দিন চলল গুলি এরকম কেন। রাজ্যে টানা বাম জমানায় এই গ্রামে এমন ঘটেনি বলেই জানান এলাকাবাসী।

পঞ্চায়েত ভোট শুরুর পর আশঙ্কা মিলিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেছে রাজ্য। চলছে খুনের পর্ব। নির্বাচন কমিশনের অফিসে। একের পর এক জমছে অভিযোগ তবু দেখা নেই কমিশনারের। তিনি কি ঘুমোচ্ছেন? এমনই প্রশ্ন বিরোধীদের। একাধিক জায়গায় অভিযোগ উঠছে বহু বুথে এখনও পর্যন্ত পৌঁছায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নেই কোন ভোট গ্রহণের অনুকুল ব্যবস্থা। একাধিক জায়গায় চলছে ছাপ্পা ভোট। ভোট দিতে এসে সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

ভোট রুখতে হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের সকালে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ উত্তপ্ত গোটা বাংলা।