Gangasagar: সাগর মেলায় করোনা বিষ

চিকিৎসক কুণাল সরকার বলছেন রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ সফল হবে যদি গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলা করা যায়। কিন্তু যে অঙ্কটা মেলাতে কালঘাম ছুটে যাবে, তা হল রাবার…

চিকিৎসক কুণাল সরকার বলছেন রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ সফল হবে যদি গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলা করা যায়। কিন্তু যে অঙ্কটা মেলাতে কালঘাম ছুটে যাবে, তা হল রাবার ব্যান্ডের মত ভোগান্তির পিরিয়ডটা টেনে লম্বা করে দেওয়া হল ইচ্ছাকৃত।

উদ্বেগ বাড়িয়ে এর পরেও গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছে। করোনা বাড়ছে হু হু করে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নির্বিকার মনোভাবের অভিযোগ বিরোধী দল বিজেপির। বাকি বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের তরফে আসছে সমালোচনা।

দেশের দৈনিক সংক্রমণ এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই লক্ষের কাছাকাছি। অন্যদিকে সকলের চিন্তা বাড়িয়ে অ্যাক্টিভ কেসে দেশে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। অন্যদিকে পজিটিভিটি রেটে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা। ৩২ শতাংশ পজিটিভিটি রেট নিয়ে দেশে শীর্ষে বাংলা। জেলাভিত্তিক পজিটিভিটি রেটে ২ নম্বরে কলকাতা।

জানা গিয়েছে, কলকাতায় সপ্তাহে ৬০ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি। কলকাতায় এক সপ্তাহেই ৬৩ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত। বুলেটিন অনুযায়ী, গতকাল রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২১ হাজারের বেশি, ১৯জনের মৃত্যু। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৫৬৫, ৬ জনের মৃত্যু। এহেন পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে খোদ কলকাতা হাইকোর্টও। করোনা আবহে রাজ্যের গঙ্গাসাগর মেলা করার সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো চোখে নেয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কোভিডে আক্রান্ত মন্ত্রী-আমলারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা। প্রত্যেককে মাস্ক পরুন। পারলে ডবল মাস্ক পরুন। প্রশাসনের কথা মেনে চলুন’।

তবে গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারির জন্য পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। চিকিৎসক মহলের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, এই মহামারী ও অতিমারীকালে গঙ্গাসাগর মেলা করাটা কি খুব দরকার ছিল? যেখানে একাধিক রাজ্য মকর সংক্রান্তির উৎসবের ওপর না করেছে সেখানে বাংলা কেন ব্যতিক্রমী কাজ করল বলেও প্রশ্ন।