নওশাদ সিদ্দিকীকে (Naushad Siddiqui) না ছাড়লে ‘কলকাতাকে অচল করে দেব’ এমন হুমকি দিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফের (Furfura Sharif) পীরজাদারা। এবার কি সেই পথেই যাবে ফুরফুরা? কারণ আইএসএফ বিধায়ক তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির জামিন হয়নি। বাম ঘনিষ্ঠ এই বিধায়ককে জেলে থাকতে হবে।
তবে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন। ১ ফেব্রুয়ারিতে নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তি না হলে কলকাতা অচলের পাশাপাশি তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক ছিনিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফুরফুরার তরফে কাশেম সিদ্দিকি।
এদিকে খবর আসছে ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। যে কোনও সময় তীব্র উত্তেজনা বা হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হতে পারে এমনই আশঙ্কা। আইএসএফ ও তৃ়ণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্খানীয় প্রশাসন। হিংসাত্মত আন্দোলন ছড়ানোর অভিযোগে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ধর্মতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁকে না ছাড়লে অচলাবস্থার হুঁশিয়ারি দেয় অন্যতম মুসলিম পীঠস্থান ফুরফুরা শরিফ। এই ধর্মীয় কেন্দ্রের পীর পরিবারের সদস্য নওশাদ সিদ্দিকী। গত বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও আইএসএফের মধ্যে তৈরি সংযুক্ত মোর্চার তিনিই একমাত্র বিধায়ক নির্বাচিত হন। ভাঙড়ে পরাজিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম জনতার ভাবাবেগ নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলা খেলছেন। তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএসের ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীর পরিবার। ফুরফুরার তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জমানায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ছিলনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিদ্বেষ চাগিয়ে তুলেছেন। পীরজাদাদের দাবি, তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছে ফুরফরা। তাঁর ভোটব্যাংকও ছিনিয়ে নেবে।