মা মত্ত পরকীয়ায়! বাবা এবং মেয়ে মিলে ঘটাল হাড়হিম করা কাণ্ড, চাঞ্চল্য নদিয়ায়

মা মত্ত গদগদে পরকীয়ায়! বাবা এবং মেয়ে মিলে হাড়হিম করা কাণ্ড ঘটাল নদিয়ার (Nadia) তেহট্টে। নদিয়ার পলাশিপাড়ার ঈশ্বরচন্দ্রপুর মাঠপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত…

tehatta

মা মত্ত গদগদে পরকীয়ায়! বাবা এবং মেয়ে মিলে হাড়হিম করা কাণ্ড ঘটাল নদিয়ার (Nadia) তেহট্টে। নদিয়ার পলাশিপাড়ার ঈশ্বরচন্দ্রপুর মাঠপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম চামেলি বিশ্বাস। ২৩ বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্যামল বিশ্বাসের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু’জনের দাম্পত্যকলহ চলছিল। পারিবারিক অশান্তি এড়াতেই নাকি দীর্ঘ দিন ধরে ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতেন শ্যামল। তাঁদের একমাত্র মেয়ে শাঁওলি মায়ের সঙ্গে থাকলেও মায়ের পরকীয়ার ব্যাপারে সবটাই জানত সে। গত বুধবার অশান্তি চরমে উঠলে বাবা এবং মেয়ে মিলে চামেলিকে হত্যা করে। মেয়ে অসুস্থ হওয়ার নাটক করে ভর্তি হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে বাবা এবং মেয়ে।

ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, সিবিআই তদন্ত আপত্তি নেই, আরজি.কর নিয়ে বার্তা মমতার

   

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চামেলির মেয়ে মায়ের পরকীয়ার সম্পর্কে প্রতিবাদ করায় মা মেয়েকে মারতে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে সে কথা বাবাকে জানান শাঁওলি। শ্যামল ওই কথা শোনার পরে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। চামেলি স্বামী এবং মেয়ে, দু’জনকেই মারধর করেন বলে অভিযোগ। তখনই বাবা-মেয়ে চামেলির মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় চামেলিকে ঘরের মেঝেতে দীর্ঘ ক্ষণ পড়ে থাকেন।

একাদশের সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র নিয়ে সংসদের নয়া নির্দেশ, ঘুম উড়ল প্রধান শিক্ষকদের

সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরেই নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ডাকাতির গল্প সাজান বাবা-মেয়ে।
ঘরের আলমারি খুলে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন। টাকাপয়সা, গয়না ইত্যাদি মূল্যবান জিনিস যা কিছু ছিল, তা অন্যত্র সরিয়ে দেন তাঁরা। তার পর মেয়েকে নিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে যান শ্যামল। অসুখের বাহানা দিয়ে এক দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। বুধবার সকালে দু’জনে বাড়ি ফিরে আর্তনাদ শুরু করেন। বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শাঁওলি এবং তাঁর বাবাকে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।