নয়া নিয়মে একাদশ শ্রেণিতে দু’টি সেমিস্টার হবে। ওই পরীক্ষাগুলোতে কোনও শিক্ষক সংগঠন বা এজেন্সির তৈরি করা প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। স্কুলের সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকাদেরই প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এই নির্দেশিকায় চাপ বাড়ল প্রধান শিক্ষকদের। কেন? একাদশ শ্রেণির দুই সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র তৈরিতে পূর্ণ সময়ের স্থায়ী শিক্ষক, শিক্ষিকার প্রয়োজন। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বহু বিষয়ের পূর্ণ সময়ের শিক্ষক, শিক্ষিকাই নেই। ভরসা করতে হয় পার্টটাইম, গেস্ট অথবা স্কুলের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের উপরই। কিন্তু চলতি শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস। বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি। একাদশের প্রথম সেমিস্টার হবে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন এবং ওএমআর শিট ফর্ম্যাটে। ফলে স্থায়ী শিক্ষক, শিক্ষিকা না হলে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকবে না। ফলে প্রশ্ন তৈরিতে ভুল হতে পারে।
কর্মী নিয়োগ করতে চলছে ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, রইল আবেদন পদ্ধতি
ফলে প্রশ্ন তৈরির কাজ অত্যন্ত চাপের হবে। তার উপর যদি প্রশ্নপত্র কঠিন হয়, তখন পড়ুয়াদের রাগ গিয়ে পড়বে প্রধানশিক্ষকদের উপর। যা নিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা প্রধান শিক্ষকদের।
সংসদের এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজা দে। তাঁর কথায় মিত্র ইনস্টিটিউশনে উচ্চমাধ্যমিকে ২৭০ জন পড়ুয়া রয়েছে। তবে- অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন এবং এডুকেশন বিষয়ে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। পার্টটাইম শিক্ষকদের দিয়ে চালাতে হয়। আর তাঁরাও নতুন। তাই তাঁরা সংসদের নিয়ম মেনে প্রশ্ন তৈরি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে।