Dengue: ডেঙ্গু হামলা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা খুঁজছেন পরিত্রাণের পথ

সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০১৯ সালের পর গত পাঁচ বছরের মধ্যে ফের এ বছরে ডেঙ্গুর দাপট বেড়েছে বাংলায়। ডেঙ্গু হেমারেজিক…

সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০১৯ সালের পর গত পাঁচ বছরের মধ্যে ফের এ বছরে ডেঙ্গুর দাপট বেড়েছে বাংলায়। ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার, শক সিন্ড্রোমে মৃত্যু বাড়ছে। ডেঙ্গুর কোন প্রজাতির প্রকোপ বেড়েছে, কোন কোন এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি তা জানতে সেরোটাইপিং পরীক্ষা করার কথা ভাবছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ডেঙ্গুর সেরোটাইপিং পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণভাবে একই ধরন বা সেরোটাইপিং-এর ডেঙ্গুতে বারবার আক্রান্ত হলে রোগীর বিপদের আশঙ্কা কম। ধরন আলাদা হলেই বিপদের আশঙ্কা বেশি। ডেঙ্গুতে নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, ফলে রোগ ধরতে অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। পরে পরীক্ষা করে ধরা পড়ছে ডেঙ্গু। আবার পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, খাদ্যনালিতে সংক্রমণ নিয়েও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এমনকি কার্ডিয়াক কমপ্লিকেশনও দেখা যাচ্ছে ।

   

নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হচ্ছে অনেকের। এমনকি ডেঙ্গুতে চোখ নষ্ট হতেও দেখা গেছে।  খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে প্লেটলেট। রক্তক্ষরণ বা ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ডেঙ্গুর মূলত চারটি স্ট্রেন। ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩, ডেন-৪। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল ডেন-২ ও ডেন-৪। তুলনায় সবচেয়ে বেশি নিরীহ ডেন-১ এবং ডেন-৩।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে যখন প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল তখন স্ট্রেন ছিল ডেন-৩। তাই এ নিয়ে খুব বেশি ভয় পাননি স্বাস্থ্যকর্তারা। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেন-২। এই ডেন-২ এবং ডেন-৪ যদি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তাহলে মৃত্যুর আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত।

উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। সেই বছরও দেখা গিয়েছিল ডেন-২ প্রজাতির সংক্রমণ। ওই বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়ে গিয়েছিল ২০ হাজার। আর মৃতের সংখ্যা ছিল শতাধিক। ২০২২ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি। এ বছর ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গু। দেশের শীর্ষ ভাইরাস গবেষণাকেন্দ্র পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি জিকা ভাইরাসের কিট দেওয়ায় জিকা পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। জ্বর এলে দ্রুত এনএস-১ টেস্টের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।