Darjeeling: গোজমুমো গরম হাওয়া শুরু দার্জিলিংয়ে, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনশনে গুরুং

সপ্তাহ শুরুতেই গরম হতে চলল দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং (Kalimpong) দুই জেলার পার্বত্যাঞ্চল। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নির্বাচন এখনই নয় এই দাবিতে সোমবার থেকে অনশনে…

Bimal Gurung-Mamata Banerjee

সপ্তাহ শুরুতেই গরম হতে চলল দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং (Kalimpong) দুই জেলার পার্বত্যাঞ্চল। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নির্বাচন এখনই নয় এই দাবিতে সোমবার থেকে অনশনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং।

দার্জিলিং শহরে গুরুংয়ের অনশন কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। গুরুং অনশন মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে আরও গরম হুঁশিয়ারি দেবেন বলেই জানাচ্ছে গোজমুমো সূত্র। তার অনশন ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।

গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে জমায়েত ঘিরে দার্জিলিং সরগরম। জেলা প্রশাসন যে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা রুখতে তৈরি। সাদা পোশাকের আইবি কর্মীরা রয়েছেন সর্বত্র।

রবিবার দার্জিলিংয়ে এক সাংবাদিক সন্মেলনে গুরুং নিজের অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের জন্য তাঁর সংগঠন সবসময় লড়াই করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও লড়াই করবে। তাঁর সঙ্গে কে থাকবেন কে থাকবেন না তিনি তা দেখবেন না। বিমলের স্পষ্ট বার্তা, তার লড়াই যেভাবে চলছিল সেভাবেই থাকবে। ভবিষ্যতে তিনি কি আবার পাহাড়ের নির্বাচন নিয়ে মুখ্য ভূমিকা নেবেন? সময়ই বলবে বলে জানিয়েছেন গুরুং।

গোজমুমো গুরুং শিবির দাবি করছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ২০১১ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি মেনে না নেওয়া অবধি নির্বাচন হবে না।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জিটিএ নির্বাচন ও বিমল গুরুংয়ের অনশন কর্মসূচি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও নবান্নর মধ্যে আলোচনায় অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, শনিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। এর পরেই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ২৬ জুন হতে পারে জিটিএ নির্বাচন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৭ মে এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।

জিটিএ নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই হাঁটছিলেন বিমল গুরুং। তিনি বলেন, এখনই নির্বাচনে অংশ নেবে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

এদিকে গোজমুমো গুরুং শিবির জিটিএ ভোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে সাংগঠনিক দূর্বলতা এমনই আলোচনা চলছে। কারণ, পুরভোটে দার্জিলিংয়ে লজ্জাজনক ফল পেয়েছে গুরুংয়ের মোর্চা শিবির। দার্জিলিংয়ে এখন নতুন শক্তি হামরো পার্টি। মনে করা হচ্ছে, জিটিএ ভোটে আরও করুণ পরিস্থিতি আঁচ করেই বিমল গুরুং ভোট থেকে সরে থাকতে চাইছেন।

দার্জিলিং পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না হাওয়া নির্বাচন নয়৷ এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে প্রয়াত সুবাস ঘিসিংয়ের দল জিএনএলএফ। জিটিএ নির্বাচন করানোর বিষয়ে রাজ্যকে পুনরায় বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ২১ জুন।  এর মধ্যে রাজ্য সরকার চাইলে নির্বাচন করিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু ফলপ্রকাশ করতে পারবে না বলেই জানিয়েছে আদালত৷ একমাত্র রায় ঘোষণার পরেই নির্বাচন সম্ভব বলে জানিয়েছে আদালত।