লালগড়ে দেয়াল লিখছেন সালকু সোরেনের মা, আটকানোর ক্ষমতা নেই তৃণমূলের

মাওবাদীরা সালকু সোরেনের মৃতদেহ পচিয়ে পচিয়ে ফেলে রেখেছিল। সংবাদমাধ্যমে সেই দৃশ্য দেখে শিহরিত হয়েছিলেন রাজ্যবাসী। বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাহস হয়নি সিপিআইএম (cpim) সমর্থক…

মাওবাদীরা সালকু সোরেনের মৃতদেহ পচিয়ে পচিয়ে ফেলে রেখেছিল। সংবাদমাধ্যমে সেই দৃশ্য দেখে শিহরিত হয়েছিলেন রাজ্যবাসী। বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাহস হয়নি সিপিআইএম (cpim) সমর্থক সালকুর পোকায় কাটা দেহ মাওবাদী তথা জনসাধারণ কমিটির ঘেরাটোপ থেকে উদ্ধার করে আনার। জঙ্গলমহলে তখন অচল পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবুর প্রশাসন। সেখানে চলছিল সমান্তরাল মাওবাদী প্রশাসন।

পঞ্চায়েত ভোটের আবহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড় আবার আলোচিত। সিপিআইএমের ক্ষমতাচ্যুত হবার এক যুগ পরে লালগড়ে তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেতারা দেখলেন, নিহত সালকু সোরেনের মা ছিতামনি সোরেন ভোট প্রচারে দেয়াল লিখছেন। এই ছবি লালগড় থেকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৯ সালের পর রাজ্য বামফ্রন্ট আসনসংখ্যার বিচারে শূন্য হলেও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জারি রেখেছিল। আর ছিতামনি সোরেন বাম সমর্থক। ছেলেকে খুন করার পরেও তাকে রুখতে পারেনি মাওবাদীরা। তৃণমূল কংগ্রেস আমলেও তিনি সিপিআইএমের হয়েই সরব থেকেছেন। গত পঞ্চায়েত ভোটেও তিন একইরকম সক্রিয় ছিলেন।

২০০৯ সালের ১১জুন লালগড়ে খুন করা হয়েছিল সিপিআইএম কর্মী সালকু সোরেনকে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়। তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে স্থানীয়রা ধরমপুর পার্টি অফিসের সামনে সালকু সোরেনের দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল টানা পাঁচ দিন।পচা দেহে পোকা ধরেছিল। সেই দেহ ঘিরে রেখে বন্দুক হাতে পাহারা দিচ্ছিল মাওবাদীরা। সালকুর মৃতদেহ পরিবারকেও দাহ করতে দেওয়া হয়নি। মৃতদেহের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি ছিতামণি সোরেনকে।

জানা যাচ্ছে, লালগড় ধরমপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তির্ণ এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে একশ শতাংশ মনোনয়ন জমা করার লক্ষ্যমাত্রা হাসিল করেছে সিপিআইএম। দলটির জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের নামে হুঁশিয়ারি ছড়িয়েছে গ্রাম থেকে গ্রামে, “নমিনেশন করতে যাবে আমার কমরেডরা। তাদের একজনের গায়ে যারা হাত তুলবে তাদের জেলাতেই টিকতে দেবো না”।

সুশান্ত ঘোষের নামে হুঁশিয়ারি বার্তাকে সিপিআইএমের একটি কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শাসকদল তৃ়ণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপির কটাক্ষ, ভয় ছড়িয়ে ভোট দখলের ছক করেছেন সুশান্ত ঘোষ। তিনি এমন কাজ দীর্ঘ বাম জমানায় বারবার করেছেন।