শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও দাসপুরে দলের প্রার্থীদের প্রচারে হাজির হয়েছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (CPIM State Secretary Mohammad Salim)৷ দিনভর বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও জনসভা করেছেন৷ এদিন ঘাটাল ব্লকের নলগেড়িয়া থেকে কুঠিঘাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি তাদের এলাকার সিপিআইএম প্রার্থীদের নিয়ে পদযাত্রা করেন। পদযাত্রায় কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল নজরকাড়া। সেই প্রচার পর্ব শেষের দিকে তিনি মাইকে করে বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি শাসকদলের এবং রাজ্যের পুলিশকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। বলা ভালো কিছুটা বিতর্কিত মন্তব্যই করেছেন ৷
পুলিশদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- “পুলিশকে বলবো নিজের উর্দির সম্মান করুন। অনেক পুলিশ অফিসার আছে যাদের উর্দি খুললে দেখা যাবে তাদের আন্ডার প্যান্টে তৃণমূলের ছাপ লাগানো রয়েছে। গ্রামেগঞ্জে যখন তৃণমূল পোস্টার লাগাতে পারছে না, তখন পুলিশের ভেতরের জামায় পোস্টার লাগিয়ে দিচ্ছে। তাই বলছি নিয়ম মেনে কাজ করুন”৷
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও টিএমসি-বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “একদিকে বিজেপি আদালতে গিয়ে কেস করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই বলে। অন্যদিকে অমিত সহ বলছে আমি ৩৫৫ এর বেশি দেব না। এটাই তামাশা। গোটা দেশে নির্বাচন হলে বাহিনী কোথা থেকে আসবে তখন? আমাদের মনে হয় এটাই সেটিং এর একটা রুপ। যেখানে হাইকোর্ট বলছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই, দিল্লি থেকে বলছে ৩৫৫ বেশি দেবনা। মুখ্য সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়েও ভিন্ন নিয়ম দেখা গেছে। পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এ রাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা গেল সমাজ মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিলেন। এখানে পরিষ্কার মোদী মমতার সেটিং”।
<
p style=”text-align: justify;”>নন্দীগ্রামে পুলিশ অফিসারের সম্প্রতি বদলি নিয়ে বলেন –“পুরুলিয়াতে একাধিক অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। এই মেদিনীপুরে অসংখ্য অফিসার রয়েছে এখানে পুলিশ সুপার সহ এসডিপিও , আইসি, যাদের নামে অভিযোগ দলদাস হিসেবে কাজ করছে। যারা মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, মনোনয়ন বিরোধীদের বন্ধ করতে চাপ দিচ্ছে, সেই সমস্ত অফিসারদের বহাল তবিয়তে রাখা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন যেখানে তার দলের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না সেখানে অফিসারদের বদলি করে দিচ্ছেন। ওরা যে অন্যায় করতে চেয়েছে তাতে সায় না দিলে বদলি করে দিচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে মানুষের রায়কে”৷